শুক্রবার , ৫ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২১শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ২৯শে জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি

জীবন নয় যুদ্ধ মেয়েরা একবার হলেও পড়বে

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪

জীবন নয় যুদ্ধ মেয়েরা একবার হলেও পড়বে

ভ্রাম্যমাণ, প্রতিনিধি সাতক্ষীরা

শুধু কোন না কোন বোনের উপকারে আসবে
তাই লিখলাম।আর যদি একজন বোনের ও
উপকারে আসে তাহলে আমার লিখাটা স্বার্থক হবে।
গরীব ঘরের একটি সহজ সরল মেয়ে নাম তার নেহা।

বাবা মায়ের এক মাত্র সন্তান নেহা
অনেক কষ্ট করে খেয়ে না খেয়ে মেয়েটিকে
তারা পড়া শোনা করাচ্ছেন।মেয়েটা লেখাপড়ায় ও ফাস্ট,                                                                                                              অনেক মেধাবী একটি ছাত্রী।

জি পি এ ফাইভ নিয়ে ঢাকায় একটি
ভাল কলেজে ভর্তি হয়েছে।                                                                                                                                                              এখানে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করছে।
মেয়েটি অনেক স্বপ্ন দেখতো অনেক
লেখা পড়া করে ভাল একটা জব করবে।

বাবা মা কে নিয়ে একটু ভাল ভাবে বাঁচবে।
অনেক মন দিয়ে পড়াশোনা করে যাচ্ছে মেয়েটা।
কয়েক মাস পর কলেজের একটা ছেলে
নেহা কে প্রপোজ করলো ছেলেটার নাম ছিল রাজিব।

ভিষন ভাল ছেলে তার পরও
নেহ প্রপোজ টা গ্রহন করেনি,  সে রাজিবকে
বলল তোমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছি না যদি অপেক্ষা
করতে পারো তাহলে অকে।

রাজিব বলল আমি তোমার জন্য সারা জীবন অপেক্ষা করবো।
এই ভাবে দিন গেল মাস গিয়ে বছর গেল
এখন নেহা ফাইনাল ইয়ার এ দুই মাস
পর তার ফাইনাল পরিক্ষা।

নেহার এক বান্ধবীর বিয়ে, নেহা কে অনেক
মিনতি করে যাওয়ার জন্য রাজি করেছে।
এখন নেহা ভাবছে বড় লোক বান্ধবীর
বিয়ে একটু ভাল করে পার্লারে সাজ গুজ করে যেতে হবে।

কিন্তু টাকা পাবে কই সে রাজিব
কে গিয়ে বললো আমাকে ১ হাজার টাকা
ধার দিতে পারবে মাস শেষে দিয়ে দেব।
রাজিব বলল আচ্ছা দিব,

পরের দিন নেহা চলে গেল একটি পার্লারে তার আরেকটা
বান্ধবী কে নিয়ে। জীবনের প্রথম গেছে
সে পার্লারে সাজতে। আর সেই পার্লারের
মেয়েটা ছিল একটা খারাপ মেয়ে,

টাকা ওয়ালার ছেলেদের সাথে মেয়েটির হাত
ছিল, সে সুন্দর সুন্দর মেয়েদের কে ফাদে
ফেলে ঐ পয়সা ওলাদের কাছে পাটিয়ে দিত।
নেহা তার ফাদে পড়ে গেল,

নেহা কে বলল আপু আপনি উপরের রুমে চলে যান ওখানে
স্পেশাল সাজ দেওয়া হয় আর এখানে
সিট ও খালি নেই সে চলে গেল উপরের
রুমে। আর যেতেই রুমের ভিতর তিনটা

ছেলে ছিল দুজনে নেহার মুখে কাপর দিয়ে
বেধে নিল একজনে দরজা লাগিয়ে দিল
পরে মেয়েটি কে দুজন ধরে রাখলো এক জন
ধর্ষণ করল। ছিঃ এরা আবার নিজেকে পুরুষ বলে,

তিন জন মিলে বন্ধ রুমে একটি অসহায়
মেয়েকে রেপ করে এদের কে হিজড়া বললে
হিজড়া দের ও অপমান করা হবে।  ওরা তো
পশুর চেয়েও জঘন্য। ভাবতে অবাক লাগে

ওরা ও কোন মায়ের গর্ভে জন্ম নিছে।
ধিক্কার জানাই এই রকম পুরুষ দের।
নেহার বান্ধবী পার্লারের মেয়েটা কে বলল
আমার বান্ধবী কই সে বলল

তোমার বান্ধবী তো অনকে আগেই চলে গেছে তার
পর সেও চলে গেল। ওরা নেহা কে দুইদিন
রেপ করে ছাড়ল। মেয়েটি তখন আদ মরা
কি করবে গিয়ে বান্ধবী কে সব বলল,

বান্ধবী নেহা কে নিয়ে থানায় মামলা
করলো। নেহা কে হাসপাতালে নেওয়া হল
সত্যি তাকে রেপ করা হয়েছে কি না তা
পরিক্ষা করার জন্য কিন্তু ডাক্তার টাকা

খেয়ে ভুল রিপোর্ট দিল আর পুলিশ ঘুষ
খেয়ে কোর্ট এ মিথ্যে সাক্ষী দিল ভাল
মেয়ে টা কে চরিত্রহীনা বানিয়ে দিল।
এই হল আমাদের দেশের আইন ব্যবস্থা।

যেখানেই শুধু বড় লোক রাই বিচার পায়
আর গরিবের কোন বিচারই নেই।
ভাবতে অবাক লাগে?
এখন এই অসহায় মেয়েটি সমাজে কি

ভাবে মুখ দেখাবে।পরের দিনই মেয়েটির
ভিডিও টি ইন্টার নেটে ছেড়ে দিল।
গ্রামের মানুষরা দেখে মেয়েটির বাবা মাকে
অনেক অপমান করছে আর বলছে

তোমরা শহরে পড়ার নাম করে মেয়েটি কে দিয়ে
খারাপ কাজ করাচ্ছো ছিঃ ছিঃ । গ্রামের লোকের
অপমান সহ্য না করতে পেরে নেহার বাবা
মা দুজনেই বিষ খেয়ে সুইসাইড করলেন।

নেহা সেই কথা শুনে সেও গলায় দড়ি দিয়ে
সুইসাইড করল,আর নেহা মারা যাওয়ার
পর রাজিব টা ও পাগল হয়ে গেল। চারটা প্রান
আর একটা ভালবাসার ঘর অকালে ঝরে গেল

শেষকথাঃসব বোন দের অনুরোধ করে বলছি যে,                                                                                                                          তোমরা অপরিচিত কোন পার্লারে একা কখনো যাবেনা ।                                                                                                                  আর গেলে নিজের ভাই অথবা বোন কে নিয়ে যাবে।                                                                                                                        কারন আপন তো আপনই।