সোমবার , ৮ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ২রা মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

তিতাসে ছেলের চেয়ারের আঘাতে মায়ের মৃত্যু 

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪

তিতাসে ছেলের চেয়ারের আঘাতে মায়ের মৃত্যু

সঞ্জয় চন্দ্র দাস, কুমিল্লা নিজস্ব  প্রতিনিধি
কুমিল্লার তিতাসে ছেলের চেয়ারের আঘাতে মা মঞ্জুরা বেগম হত্যার ঘটনায় মামলা হলেও দীর্ঘ দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও গ্রেফতার হয়নি কেউ। এমন ঘটনায় এলাকাবাসী অভিযুক্ত সন্তানসহ জড়িত মদদদাতাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে। আজ (২জুলাই) মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার সাতানী ইউনিয়নের কালীর বাজার সংলগ্ন তিন রাস্তা মোড়ের ব্রীজের উপর এ মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত মঞ্জুরা বেগমের স্বামী মোঃ শান্তি মিয়া, মেয়ে ফাতেমা আক্তার, নিহতের বোন আয়েশা আক্তার, সাতানী ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, আ’লীগ নেতা মো. নাছির উদ্দিন, মো. সিদ্দিক সরকার, স্থানীয় সমাজ সেবক মোঃ শহিদ উল্লাহ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ লুৎফর রহমান প্রমূখ। এছাড়াও সাতানী ইউনিয়ন যুব লীগ নেতা মোশাররফ শাহ মোঃ টিটন মিয়া ও যুব মহিলা লীগ নেত্রী সাবিনা আক্তার সহ এলাকার কয়েক শত নারী-পুরুষ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন।
এসময় নিহতের স্বামী শান্তি মিয়া কান্না জড়িত কণ্ঠে তার স্ত্রী হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, আমার স্ত্রীকে আমার চোখের সামনে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলেছে ওই প্রাষন্ড ছেলে নবীর হোসেন। সে এবং তার স্ত্রী এর আগেও কয়েক বার আমার স্ত্রী’কে শারিরিক ও মানসিক বহু অত্যাচার ও মারধর করেছে। কয়েক বার গ্রাম্য মাতবররা বিচার সালিশও করে দিয়েছিলো; কিন্তু কখনোই তারা স্বামী-স্ত্রী বদলায়নি। আমি আমার স্ত্রী হত্যার সঠিক বিচার চাই। এসময় নিহত মঞ্জুরা বেগমের মেয়ে ফাতেমা আক্তারও তার মায়ের হত্যাকান্ডে জড়িত নবীর হোসেন ও তার স্ত্রী রোমাসহ মদদদাতাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী করেন।
এর আগে সাতানী ইউনিয়ন কারিগড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে পাষন্ড সন্তান নবীর হোসেন ও তার স্ত্রী রোমা আক্তারসহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বাতাকান্দি-মোহনপুর সড়কের কৃষ্ণপুর তিন রাস্তা মোড়ের ব্রীজের উপরে গিয়ে শেষ হয়। পরে রাস্তা অবরোধ করে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। উল্লেখ গত ১৮জুন মঙ্গলবার রাতে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে কোরবানীর গোস্ত অনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ছেলে নবীর হোসেন তার মা মঞ্জুরা বেগমকে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার একদিন পর তিতাস থানায় ছেলে নবীর হোসেন ও তার স্ত্রী রোমাকে আসামী করে হত্যা মামলা রুজু করা হয়। তবে মামলা হওয়ার দুই সপ্তাহ পেড়িয়ে গেলেও কোন আসামীকে গ্রেফতার না করায় এলাকাবাসী সংক্ষুব্ধ হয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।