রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

নাগরিক জীবনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান-পর্যালোচনা

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
নাগরিক জীবনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান-পর্যালোচনা
আখতার হোসাইন খান

রাষ্ট্রবিজ্ঞান মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যেমন শাসন, নীতিবিধান, সামাজিক ব্যবস্থা, অর্থনীতি ইত্যাদি নিয়ে তার আলোচনা ও অধ্যয়ন রাষ্ট্রের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি মানবিক বিভাগে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যেখানে নাগরিক অধিকার, ন্যায়বোধ, অধিকার ও দায়িত্ব নিয়ে গভীর আলোচনা হয়।

ব্যক্তি জীবনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন- সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি বুঝা, নিজের অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়া, রাষ্ট্রের নীতি ও নির্ধারণে অংশগ্রহণ করা। এছাড়াও রাষ্ট্রবিজ্ঞান মানুষের সামাজিক এবং রাজনৈতিক কর্মক্ষেত্রে প্রস্তুতি সরবরাহ করে এবং সামাজিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত করে।
সামাজিক বিজ্ঞানে রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মাধ্যমে আমরা সামাজিক ন্যায়নীতি এবং শাসনের সমস্যার সমাধান করতে পারি। রাষ্ট্রবিজ্ঞান সামাজিক বিজ্ঞানের অংশগুলির মধ্যে রাষ্ট্রের গঠন, শাসন, নীতি নির্ধারণ, সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন, সামাজিক ন্যায় ও অধিকার ইত্যাদির বিষয়ে অনুশীলন ও অনুসন্ধানে কাজ করে। সামাজিক বিজ্ঞানের প্রধান উদ্দেশ্য হলো সমাজের শৃঙ্খলাসহ সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান নাগরিকদের সচেতন করে কেন্দ্রীয় সরকার ও সরকারের কার্যক্রম, নীতি নির্ধারণ এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সমস্যার উপর। এটি নাগরিকদের আইনি ও রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের মৌলিক ধারণা সম্পর্কে শিক্ষা প্রদান করে। এবং নাগরিকের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন করে। নাগরিকদের সামাজিক ও নৈতিক মূল্যের প্রতি সচেতনতা তৈরি করে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করে। সাধারণভাবে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান নাগরিকদের দায়িত্বশীল এবং সচেতন নাগরিক হিসেবে কর্মক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা সম্পর্কে শিক্ষা দেয়।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান ইতিহাস নিয়েও আলোচনা করে। বিভিন্ন সময়ে কীভাবে প্রতিষ্ঠান করা হয়েছিল সে সম্পর্কে আলোচনা করে। আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান নাগরিকের মননশীলতা,চিন্তাশক্তি বিষয় নিয়েও বিবিধ আলোচনা করে। সংক্ষেপে,সামাজিক ও রাজনৈতিক জ্ঞান সম্পর্কে সঠিক ধারণা এবং স্বাধীন ও বুদ্ধিমত্তা তৈরিতে দক্ষ করে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মাধ্যমে মানুষ জানতে পারে কীভাবে রাষ্ট্রের কার্যক্রম ও নীতি নির্ধারণ হয়, সার্বজনীন মূল্য  এবং কোন ক্ষেত্রে তারা প্রতিষ্ঠিত হবে। এছাড়াও, সচেতন নাগরিক হওয়া মানব অধিকার, ন্যায় এবং লোকতন্ত্রের অধিকার রক্ষা ও সংরক্ষণে সাহায্য করে। এটি সহায়ক হয় দায়িত্বশীল ও প্রশাসনিক কাজে অংশগ্রহণে, এবং এটি নাগরিকদের আধুনিক রাষ্ট্রপ্রশাসনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করে। সাধারণভাবে বলা যায় যে, সচেতন নাগরিক প্রত্যাশা ও সুশৃঙ্খল সমাজের বিকাশে অবদান রাখে।
লেখক- প্রভাষক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)।
প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজ,রায়পুর,লক্ষ্মীপুর।