বুধবার , ৩রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ২৭শে জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি

নার্সের বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্রীর সাথে দূর্ব্যবহারের অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২৭ মে, ২০২৪

নার্সের বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্রীর সাথে দূর্ব্যবহারের অভিযোগ

মোঃ কাওসার আলি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্সের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার ২৩মে সকাল সাড়ে ১১টায় নাচোল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আশরাতুন পেট ব্যাথাসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে নাচোল হাসপাতালে যায়। আশরাতুনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্রে লিখে দিয়ে স্যালাইন ও ইনজেকশন করার জন্য সেবিকা ইতি খাতুন ও রেহেনা খাতুনকে বলেন। ওই সেবিকা রোগীর হাতে ক্যানোলা পরিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে রোগীকে বসিয়ে রাখে। অসহ্য যন্ত্রনায় পেট ব্যাথায় নিয়ে রোগী কাতরাতে থাকে আর দুই সেবিকা রোগীর সেবা না দিয়ে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ভিডিও দেখতে ব্যস্ত থাকে। ভুক্তোভূগি আশরাতুন ও তার সহপাঠিরা সেবিকাদের ইনজেকশন ও স্যালাইন দিতে অনুরোধ করলে উল্টো রোগীর সাথে তারা দুর্ব্যবহার করে। এছাড়া একাধিক রোগীর স্বজনরা জানায়, এই হাসপাতালে সেবার মান খুব খারাপ। ডাক্তারা ঠিকমত সেবা দেয়না। সেবিকারা প্রায়ই রোগীদের সাথে দূর্ব্যবহার করে। সিনিয়র স্টাফ নার্স ইতি খাতুন তার নিজ বাসা গুঠইল গ্রামে অবৈধ চেম্বার খুলে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে রোগীকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে ডেলিভারি করিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে করে অসাধু এই সেবিকাদের কারনে সরকার ঘোষিত জনগণের দৌড় গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবার মান প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে? তার অতিলোভের কারনে অনেক প্রসূতি ও নবজাতকের প্রাননাশ হচ্ছে। গত বছর নাচোল পৌর এলাকার মোমিনপাড়া গ্রামের ইসমাইল এর স্ত্রী বিলকিস নামের প্রসূতি সেবিকা ইতির বাসায় সন্তান প্রসব করাতে গিয়ে অতিরিক্ত রক্ষখরণ জনিত কারেন তার মৃত্যু হয়। বেঁচে যায় নবজাতক। পরবর্তীতে ইসমাইল থানায় অভিযোগ করলে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে সে দফায় রক্ষা পায়। এর পরও থেমে নাই তার অবৈধ কার্যক্রম। আশরাতুনের সহপাঠী সিনথিয়া ইসলাম জানান, প্রাইভেট পড়তে গিয়ে হটাৎ আমার বান্ধবী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মেডিকেলে নিয়ে যায়। কিন্তু নার্স তার হাতে ক্যানোলা লাগিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বসিয়ে রাখে। চিকিৎসার কথা বলতে গেলে আমাদের সংগেও দুর্ব্যাবহার করেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সিনিয়র ষ্টাফ নার্স ইতি খাতুন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন। নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামাল হোসেন জানান আমি বিষয়টি শুনেছি তাকে শোকজ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবো। এবিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ এস.এম মাহমুদুর রশিদ বলেন লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।