শনিবার , ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

নীলফামারীতে নির্যাতিত সাংবাদিকের

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪

নীলফামারীতে নির্যাতিত সাংবাদিকের

আব্দুস সালাম ক্রাইম রিপোর্টারঃ-

নীলফামারীতে নির্যাতিত সাংবাদিকের মামলা দ্রুত গ্রহন ও সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে স্মারকলিপি পদান করেছেন নীলফামারী জেলা রিপোর্টার্স ইউনিট। রবিবার ( ২১শে এপ্রিল ) বেলা ১১.৩০ টায় নীলফামারী জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটের সভাপতি আল-ফারুক পারভেজ ( উজ্জল ) ও নীলফামারী জেলা সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোছাঃ স্বপ্না বেগমের নেতৃত্বে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে জেলা প্রশাষকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে নীলফামারীর ‍পুলিশ সুপার গোলাম সবুর (পিপিএম) ও জেলা প্রশাষক পংকজ ঘোষ মহোদয় সহ নীলফামারী জেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি পদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটের উপদেষ্টা আবু হাচান, রিপোর্টার্স ইউনিটের সেক্রেটারী আল আমীন, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সেক্রেটারী মোঃ বাবু আহম্মেদ সহ নীলফামারী জেলার রিপোর্টার্স ইউনিটের সকল সাংবাদিক বৃন্দ ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সকল সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জানাযায়, গত ৬ই এপ্রিল শনিবার দুপুরে নীলফামারী জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও গ্লোবাল টিভির জেলা প্রতিনিধি সোহেল রানা, হারুন উর রশিদ, নুরুল আমীন ও রফিকুল ইসলাম বাচ্চু প্রধান মন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফ এর চাউল বিতরণে অনিয়ম হওয়ার খবর সংগ্রহ করতে ক্যামেরা চালু করলে, নীলফামারী সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ চৌধুরী, মোঃ লেমন ও ইউনিয়ন সচিব বুলবুল আহম্মেদ কর্তৃক দৈনিক সমাজ সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি ও নীলফামারী জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটের সদস্য নুরুল আমীনের ওপর এলাপাতারী চড় থাপ্পর ও কিল ঘুষি মারেন এবং শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্ঠা করেন। নুরুল আমীনের সংগে থাকা অন্য সংবাদ কর্মীরা মুঠোফোনে রিপোর্টার ইউনিট অফিসে জানালে, রিপোর্টার ইউনিটির সভাপতি তাৎক্ষনিকভাবে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে আহত সংবাদকর্মীকে উদ্ধার করে নীলফামারী সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ চৌধুরী ও তার সৈন্যবাহিনীরা নানান রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করিতেছেন।

স্থানী সুত্রে জানা যায়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, কচুকাটা ইউনিয়ন পরিষদে প্রধান মন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফ এর চাউল বিতরণে অনিয়মের ভিডিও ধারন করার সময় মোঃ লেমন ও ইউনিয়ন সচিব বুলবুল আহম্মেদ এসে পিছন দিক থেকে এলোপাতারী সাংবাদিককে কিল ঘুসি মারতে শুরু করেন। চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ চৌধুরী সাংবাদিককে একটি রুমে আটক রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরবর্তীতে পুলিশ এসে সাংবাদিককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৮ই এপ্রিল সকাল ১১.০০ ঘটিকায় সাংবাদিক নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবীতে মানব বন্ধন করা হয়েছিল।

এদিকে দুর্নীতিবাজ, গরীবের সম্পদ লুন্ঠনকারী চেয়ারম্যানের বিচারের দাবীতে নীলফামারী জেলার রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাংবাদিক নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার ও উপযুক্ত শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, নীলফামারীর ‍পুলিশ সুপার গোলাম সবুর (পিপিএম) ও জেলা প্রশাষক পংকজ ঘোষ মহোদয় স্মারকলিপি গ্রহন করেন এবং অপরাধী যেই হোকনা কেন সকল কেই আইনের আওতায় এনে অতি দ্রুত গ্রেফতার করার আশ্বাষ দেন।