ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৪ এপ্রিল ২০২৪
  1. অগ্নিকান্ড
  2. অনুষ্ঠান
  3. অপরাধ
  4. অবৈধ বালু উত্তোলন
  5. অভিনন্দন
  6. অভিযোগ
  7. অর্থনীতি
  8. আইন ও বিচার
  9. আওয়ামী লীগ
  10. আওয়ামী লীগে
  11. আক্রান্ত
  12. আটক
  13. আত্মহত্যা
  14. আদালত
  15. আনন্দ মিছিল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘নৌ পুলিশের যন্ত্রণাটা ডাকাত দলের সদস্যদের চেয়ে কম নয়’

admin
এপ্রিল ৪, ২০২৪ ৫:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিজয় কর রতন, মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:- নৌ-পুলিশের-যন্ত্রণাটা-
ডাকাত-দলের-সদস্যদের-চেয়ে-কম-নয় পুলিশের নৌকা থেকে লাঠির মাধ্যমে কৌটা
বাড়িয়ে চাঁদার টাকা নেয়া হয় বলে অভিযোগ নৌযান মালিক ও শ্রমিকদের। নৌ
পুলিশ সিলেট অঞ্চলের সিনিয়র এএসপি মো. ইসমাইল মিয়া বলেন, ‘আমাদের
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিষয়টি তদন্তের জন্য আমি কিশোরগঞ্জে
এসেছি। তদন্ত শেষে সত্যতা পাওয়া গেলে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ
করবে।’‘নৌপথে আগে প্রায়ই ডাকাতির ঘটনা ঘটত। এখন তেমন একটা নেই,
তবে নৌ পুলিশের যন্ত্রণাটা ডাকাত দলের সদস্যদের চেয়ে কোনো অংশে কম
নয়।’কথাগুলো বলছিলেন কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামের
আবু তাহের, যিনি প্রায় ১৫ বছর ধরে বাল্কহেডের সুকানি হিসেবে কাজ
করছেন।‘ডাকাত দলের সদস্যরা নগদ যা পেত, তাই নিয়ে যেত। আর নৌ পুলিশ
বিকাশে টাকা আনতেও বাধ্য করে’, বলেন আবু তাহের। ‘কখনও কখনও এ পুলিশ
সদস্যরাই ম্যাজিস্ট্রেট সেজে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে বিনা রসিদে আদায় করেন
হাজার হাজার টাকা’, যোগ করেন তিনি। বাল্কহেডের এ সুকানির মতো অনেক
শ্রমিক ও নৌযানের মালিক কিশোরগঞ্জের হাওরে নৌ পুলিশের চাঁদাবাজির
অভিযোগ করেছেন। তাদের ভাষ্য, চাঁদা দিতে অস্বীকার করলেই তল্লাশির নামে চলে
হয়রানি কিংবা নির্যাতন। একই ধরনের অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রাও। নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মালিক ও শ্রমিক জানান, কিশোরগঞ্জের ইটনা
উপজেলা থেকে ভৈরব পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় নৌ পুলিশকে চাঁদা দিতে হয়।
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের হয়রানি কিংবা নির্যাতন করা হয়।
নৌযানের মালিক ও শ্রমিকদের ভাষ্য, ছোট ট্রলার ও একাধিক ডিঙি নৌকা নিয়ে
বিভিন্ন নৌযান থেকে চাঁদা তোলে নৌ পুলিশ। নৌ পুলিশ সদস্যরা নৌকার
ভেতরে থেকে মাঝি ও স্থানীয়দের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করেন। তারা আরও জানান,
পুলিশের নৌকা থেকে লাঠির মাধ্যমে কৌটা বাড়িয়ে নেয়া হয় চাঁদার টাকা।
কেউ দিতে অস্বীকৃতি জানালে পুলিশের নৌকায় ডেকে এনে আদায় করা হয়
বাড়তি টাকা। ‘নৌ পুলিশের যন্ত্রণাটা ডাকাত দলের সদস্যদের চেয়ে কম নয়’
জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার চংনোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আতিকুল ইসলামের
অভিযোগ, তাদের বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ধনু নদী। এ নদীতে প্রতিদিন
হাজারো বাল্কহেড, কার্গো ও পণ্যবাহী ট্রলার চলাচল করে। এসব নৌযানে নৌ
পুলিশের সদস্যরা অবাধে চাঁদাবাজি করেন। তার অভিযোগ, কেউ প্রতিবাদ করলে
মামলায় জড়ানোর হুমকিসহ নানাভাবে হয়রানি করা হয়। চাঁদাবাজির ভিডিও করায়
মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়ার অভিযোগ করেন আতিকুল। নৌ পুলিশের মাধ্যমে
হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন সংবাদকর্মীরাও, যাদের
একজন হারিছ আহমেদ। তিনি জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে তথ্য পেয়ে করিমগঞ্জের
চংনোয়াগাঁও এলাকায় নৌপথে পুলিশের চাঁদাবাজির ভিডিও ধারণ করতে যান
তিনি। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে চামড়াঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক
আবদুল আলিম এসে কেঁড়ে নেন তার মোবাইল ফোন; তাকে ধরে নিয়ে যান
ফাঁড়িতে। একপর্যায়ে সব ফুটেজ মুছে ফেলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ বিষয়ে
চামড়াঘাট নৌ পুলিশের ইনচার্জ আলমগীর রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টি তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। এসব

অভিযোগের বিষয়ে নৌ পুলিশ কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল
মামুনের মোবাইলে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। নৌ পুলিশ সিলেট
অঞ্চলের সিনিয়র এএসপি মো. ইসমাইল মিয়া বলেন, ‘আমাদের ঊর্ধ্বতন
কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিষয়টি তদন্তের জন্য আমি কিশোরগঞ্জে এসেছি। তদন্ত
শেষে সত্যতা পাওয়া গেলে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
আরও

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

Design & Developed by BD IT HOST