ঢাকাশনিবার , ১৬ মার্চ ২০২৪
  1. অগ্নিকান্ড
  2. অনুষ্ঠান
  3. অপরাধ
  4. অবৈধ বালু উত্তোলন
  5. অভিনন্দন
  6. অর্থনীতি
  7. আইন ও বিচার
  8. আওয়ামী লীগ
  9. আওয়ামী লীগে
  10. আক্রান্ত
  11. আটক
  12. আত্মহত্যা
  13. আদালত
  14. আনন্দ মিছিল
  15. আন্তর্জাতিক
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চাকরির নামে মানুষের সাথে প্রতারণা

admin
মার্চ ১৬, ২০২৪ ৪:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এম এ সাকিব খন্দকার ,শিবপুর উপজেলা প্রতিনিধি- সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে মানুষের সাথে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে মোস্তফা কামাল নামের গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। প্রতারকের নাম- মোঃ মোস্তফা কামাল, পিতা- আব্দুল ওহাব,মাতা – মনোয়ারা বেগম,সাং- লোহাগাছিয়া, পোস্ট – বাসুদেবপুর, ইউনিয়ন -প্রহলাদপুর,থানা – শ্রীপুর,জেলা – গাজীপুর। গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নেজারত বিভাগের অধিনে সার্কিট হাউসের নিরাপত্তা প্রহরী, পদোন্নতি পেয়ে জারিকারক হয়েছে, তবে এখনো নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবেই ডিউটি করে,০১৮২০৫৩৪৪৪৭,০১৭৭২৬৬৪৪৪৫, । রাকিব নামের একটি ছেলের কাছ থেকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দিবে বলে দুই লক্ষ টাকা নিয়েছে।দুই বছর ধরে এখনো চাকরি দেয়নি এবং তার টাকা ও ফেরত দিচ্ছে না। এই অবস্থায় রাকিব একেবারেই বেকায়দায় ও কষ্টে রয়েছে। ঘরে তার স্ট্রোকে প্যারালাইজড সয্যাশায়ী বাবা বিছানায় পায়খানা প্রস্রাব করে, এবং তার মা ও নানা রোগে আক্রান্ত। তার ঘরে খাবার নেই। বিদেশ যাবে বলে অতি কষ্টে যোগাড় করা টাকা চাকরির আশায় মোস্তফা কে দিয়ে এখন সে বিদেশেও যেতে পারছেনা।এই প্রতারক মোস্তফার কারণে ছেলেটা অনেক কষ্টের মধ্যে দিন পার করছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কাছে রাকিব মৌখিকভাবে অভিযোগ করলে তিনি রাকিবকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।রাকিব লিখিত অভিযোগ নিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট জমা দিতে গেলে গেইটেই রাকিব গার্ডদের ও মোস্তফার দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়।তাকে পরে আসতে বলা হয়। এরপর রাকিব কয়েকদিন অভিযোগ পত্র নিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে দেখা করতে গেলে রাকিবকে ডিসি সারের সাথে দেখা করতে দেয়া হয় নি। গাজীপুর জেলার সদর ও শ্রীপুর উপজেলার বহু বেকার যুবকদের কান্নার কারন এই লোকটা। গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সরকারি চাকরি পাইয়ে দিবে বলে মানুষের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন মানুষকে জমির খারিজ করে দিবে বলেও সে মানুষের সাথে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে। ভুক্তভোগীরা চাকরি ও জমির খারিজ না পাওয়ায় বছরের পর বছর সময় অতিবাহিত হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে সে লোকদের উপর চড়াও হয়ে আসে,রাগ দেখায় এবং বিভিন্ন অজুহাতে কলাকৌশল অবলম্বন করে এবং হুমকি দেয় যে,এ বিষয়ে কোথাও কোনো অভিযোগ করলে এবং কারো সামনে মুখ খুললে একটি টাকা ও ফেরত দিবে না।পুর্বের ডিসি জনাব আনিসুর রহমান স্যার থাকাকালীন কয়েকজন মিলে মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে তৎকালীন জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে তিনি মোস্তফা কামালের বেতন বন্ধ করে দিয়ে চাকরিচ্যুতির আদেশ দিলেও তা কাগজে কলমে বাস্তবায়ন করা হয়নি। শুধু কয়েক মাস মোস্তফার বেতন বন্ধ ছিল।পরে তা মোস্তফার নানা কৌশলে অজানা কারণে সব ঠিক হয়ে সমস্ত অভিযোগ ফাইলেই চাপা পড়ে যায়।ফলে মোস্তফা খুবই উৎসাহের সাথে এই কাজকর্ম এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। একাধিক বিয়ে করা মোস্তফা কামাল তার স্ত্রীসন্তানদেরকেও অত্যাচার নির্যাতন করে, ভরনপোষন দেয়না। সে নিজের সংসার পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত গোপন করে অনেক গুলো বিয়ে করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদেরও কোনো খোঁজখবর রাখেনা এবং এসব বিষয়ে মেয়েদেরই দোষ রয়েছে বলে সবখানেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে। সে অসংখ্য মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে থাকলেও সে বিচারকদের কেও মিথ্যাবলে নানা কৌশলে বিপথে চালিত করে। সে তার মুখের কথা দ্বারা সবকিছু অস্বীকার করে দলিলপ্রমানকে বাতিল করার চেষ্টা করে। অথচ সে এইসব কেন করে তা কেউ তার কাছে জানতেও চায়না। ফলে সে বারবার সুযোগ পেয়ে এইসব কর্মকাণ্ড করতে আরো উৎসাহি হয়ে উঠেছে। নিজের চাকরি বাঁচাতে চাকরি প্রার্থীদের টাকা ফেরত দিতে হবে বলে সে তার স্ত্রীর কাছ থেকে ও ভয়ভীতি ও টাকা না দিলে সংসার না করার হুমকি দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে স্ত্রী সন্তানদের রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে কোনো খোঁজখবর রাখেনা। এসব টাকা মোস্তফা কামাল অবৈধ ব্যবসা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করে বলে শোনা গেছে।এ বিষয়ে তার স্ত্রী কর্তৃক গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করা হলে এ বিষয়ে ও কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নি। এবারেও বর্তমান জেলা প্রশাসক মহোদয় মোস্তফা কামালের চাকরিচ্যুতির আদেশ দিলেও কাগজপত্রে তা বাস্তবায়ন হয়নি। অজানা কারণে এবারেও অভিযোগ পত্র ফাইলেই চাপা পড়ে গেছে। মোস্তফা কামাল এভাবে বারবার ছাড় পায় বলেই সে মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করতে দ্বিধাবোধ করে না। তার স্ত্রী কর্তৃক গাজীপুর কোর্টেও তার নামে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। সেখানেও সে একইভাবে তার প্রভাব খাটিয়ে চলছে বলে জানা গেছে। মোস্তফা কামাল অপ্রতিরোধ্য ভাবে সমানতালে নারী পুরুষ সকলের ক্ষতি করে চলেছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বারবার গিয়ে অভিযোগ পত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে ডিসির বাসভবনে গিয়ে দেখা করে অভিযোগ জমা দেয়ার চেষ্টা করা হলে সেখানেও গেইটের গার্ডদের কথাবার্তা ও আচরণ এমন ছিল যেন মোস্তফা কামাল সবাইকে আগে থেকেই বলে রেখেছে যে,তার বিষয়ে যেন কাউকেই ভিতরে ঢুকতে দেয়া না হয়। এবং কেউ এসেছে এই খবরটাও সাথে সাথে মোস্তফা কামালের কাছে পৌঁছে যেত।আর তখনি মোস্তফা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযোগকারী কে ফোন করে হুমকি দিতে থাকে যে,এসব করলে কখনোই পাওনা টাকা ফেরত দেয়া হবে না।যার কাছে অভিযোগ করবে তার কাছ থেকে পারলে যেন টাকা নেয়। মোস্তফার এমন হুমকির ফলে আরো বহু পাওনাদার যুবকেরা মুখ বন্ধ করে চুপ করে রয়েছে।তারা কোনোমতে টাকা ফেরত নিতে চায় বলে আশা করে চুপচাপ রয়েছে। কারণ মোস্তফা সবাইকে বলে যে, কোথাও কিছু না বলে সময় দিলে সে নাকি টাকা ফেরত দিয়ে দিবে। তাই অনেকে এই আশায় মুখ বন্ধ করে রেখেছে।মোস্তফা এইভাবে হুমকি দিয়ে টাকা ফেরত দিবে বলে বছরের পর বছর অতিবাহিত করে দেয়। মোস্তফা কামাল নামের এই লোকটা অত্যন্ত চালাক ও দুর্ত বাটপার। তার কাছের অনেক আত্মীয় গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে কর্মরত আছে। মোস্তফা কামাল তার এসব বেআইনি কাজের জন্য তাদের দ্বারা নানাভাবে তদবীর করিয়ে নিজে সম্পুর্ন ভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে এসব কর্মকাণ্ড অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে। মোস্তফা কামাল কে অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা জরুরি।তানাহলে সে এভাবেই মানুষের সাথে প্রতারণা করতে থাকবে।এই লোকটা অসংখ্য বেকার যুবকদেরকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দিবে বলে চুক্তিপত্র স্টেম করে এবং স্বাক্ষর করা খালি চেক দিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে টাকা নিয়ে আর ফেরত দেয়না।খালি চেক দিয়ে ঐ দিনই আবার থানায় গিয়ে স্বাক্ষর করা খালি চেক হারিয়ে গেছে বলে থানায় চেক বাতিলের জন্য জিডি করে আসে যাতে ঐ চেক দিয়ে পাওনাদার মামলা করে জয়ী হতে না পারে। আর ঐ স্টেম্পে চাকরির লেনদেন বেআইনি বলে তা দ্বারাও মামলা করা যায়না বলে সে অবুজ বেকারদের বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। কারন অনেকে জানেনা যে এই ধরনের স্টেম্প মামলার ক্ষেত্রে গ্রহনযোগ্য নয়। তাই তাকে কোনোভাবেই কিছু করা সম্ভব হবে না জেনেই সে এইভাবে স্টেম করে টাকা নেয়। ডিসি অফিসের স্টাফ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ডিসি অফিসে কয়েকবার ভুক্তভোগীদের দ্বারা অভিযোগ দায়ের হলেও কোনো বিচার হয়নি মোস্তফা কামালের অবলম্বন করা নানা কৌশলের ফলে অভিযোগ পত্র ফাইলেই চাপা পড়ে যায়। এমতাবস্থায় তার এসব কর্মকাণ্ড বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ও গাজীপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তাকে আইনের আওতায় এনে সঠিক তদন্ত করে সঠিক বিচার দাবি করছি

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।