সোমবার , ১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৫ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে দুধ ও ডিম বিক্রয় কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র খুলনা

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

মোঃ মিজানুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার- পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে দুধ ও ডিম বিক্রয় কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র খুলনা। মোঃ মিজানুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার সময় খুলনা জেলা প্রনিসম্পদ কার্যালয় চত্বরে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে দুধ ও ডিম বিক্রয় কর্মসূচির উদ্বোধন করেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ।
তিনি বলেন পবিত্র রমজান মাসে বিশ্বের সব ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনী জিনিস স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে থাকেন, কিন্ত আমাদের দেশের কিছু অসাধুচক্র বাজার কারসাজির মাধ্যমে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস তুলেদেয় এদের বিরুদ্ধে সরকার কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন পাশাপাশি ন্যায্য মূল্যে টিসিবি সহ সব ধরনের পন্য বিক্রি করছে এরই ধারাবাহিকতায় আজ খুলনা জেলা প্রানিসম্পদ জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে দুধ ও ডিম বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছেন এ ভাবে আমাদের সকলেরই এগিয়ে আসতে হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার বলেন, আমাদের দেশে প্রাণীর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়। আমরা যদি ১৯৭১ সালের পরিসংখ্যান দেখি তাহলে দেখা যায় সেই সময় যে পরিমাণ গবাদি পশু ছিল বর্তমানে তার থেকে প্রায় তিনগুণ গবাদি পশু বৃদ্ধি পেয়েছে। একইভাবে ডিমের ক্ষেত্রে দেখা যায় আগেকার দিনে গ্রামীণ জনপদে কেউ একটা ডিম একা খেতে পারত না, ভাই বোন বেশি হলে একটা ডিম সবাই মিলে ভাগ করে খেতে হতো। বর্তমানে লক্ষ্য করলে দেখা যায় বাংলাদেশে ডিমের প্রাপ্যতা জনপ্রতি বছরে ১৩৬ টি, সেটা জাপানের মত উন্নত দেশে ডিমের প্রাপ্যতা জনপ্রতি বছরে ৩৩০ টি এবং ইসরাইলে ৩২০ টি। দুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দুধের প্রাপ্যতা জনপ্রতি ছিল ১১০ এমএল, বর্তমানে সেটি বেড়ে হয়েছে ১৩০ এমএল। আগেকার দিনে গবাদি পশু কিন্তু মাংসের প্রয়োজন মেটানোর জন্য খুব একটা ব্যবহার হতো না চাষাবাদের জন্য ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমানে অনেকেই কিন্তু গবাদি পশু এবং হাঁস মুরগি পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। একইসাথে গবাদি পশু এবং হাঁস মুরগি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের ফলে মাংসের চাহিদা পূরণ করাসহ ডিম এবং দুধের উৎপাদন বেড়েছে। সবশেষে পুলিশ কমিশনার মহোদয় পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে দুধ এবং ডিম বিক্রয়ের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তার বক্তব্য সমাপ্ত করেন।

পবিত্র রমজান উপলক্ষে সুলভ মূল্যে দুধ এবং ডিম বিক্রয় কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কুমার মন্ডল সভাপতিত্ব করেন। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর, খুলনার পরিচালক ডা: মোঃ লুৎফর রহমান; খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ শরিফুল ইসলাম সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।