শুক্রবার , ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

পাঁচবিবিতে সাংবাদিক আলকারীয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩

পাঁচবিবিতে সাংবাদিক আলকারীয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি (পাঁচবিবি ) প্রতিনিধিঃএম এ মোতালেব প্রধান

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলার খবর পাওয়া গেছে,
জেলা জয়পুরহাট বিজ্ঞ আমলী আদালত এর মামলা নং ৭৩পি/২০২৩(পাচঃ)সূত্রে জানা যায় গত ৪/৫/২৩ তারিখে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মুলান গ্রামের বাদিনীর জায়গা ঘেরা কে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীদের সাথে ঝগড়া বিরোধ হয়,
এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কুসুম্বা ইউনিয়নের ঢাকার পাড়া গ্রামের আমিরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী আল কারিয়া চৌধুরী এবং বাগজানা ইউনিয়নের কোটা হারা গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে সাবেক সেনা সদস্য বর্তমান সাংবাদিক পরিচয়দানকারী রেজোয়ান হোসেন হিরো, ঘটনাস্থলে গিয়ে মামলার বাদীনি কে হুমকি দেন যে গ্রামবাসীর হাঁটাচলা করার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন, আমরা এই নিউজ করলে আপনার বড় ধরনের ক্ষতি হবে, মামলা হবে, আপনাকে পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যাবে, এমন ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বাদিনীর কাছে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী আলকারিয়া চৌধুরী ৩০০০০ টাকা দাবি করে, বাধ্য হয়ে বাধিনি দুইজন কে ১০ হাজার টাকা চাঁদা প্রদান করেন,
পরবর্তীতে ঢাকা টাইমস একটি প্রিন্ট করা কাগজে শিরনামে, জয়পুরহাটে শত বছরের পুরনো রাস্তায় বাঁশের বেড়া গ্রামবাসীর প্রতিবাদ, নিউজ করা হয়, কাগজ দেখাইয়া আরো ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে বাদিনীর কাছে,
টাকা দিতে অস্বীকার করিলে বাদিনীকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি সহ হুমকি প্রদান করা হয়,
এ বিষয়ে মামলার বাদিনী মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আছলেমা বেগম খুশি বলেন বিবাদীগন আমার সাথে অন্যায় করেছে, টাকা নিয়েছে এবং আমার নামে মিথ্যা নিউজ করেছে, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেছি।
এ বিষয়ে শালাইপুর বাজারের এক দোকানদার বলেন, কিছুদিন আগে আল কারীয়া চৌধুরী তাহার ভগ্নিপতির কাপড়ের দোকানের কর্মচারী ছিলেন, সাংবাদিকতা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন।
এছাড়া বেশ কিছুদিন আগে পাঁচবিবি একটি সরকারি অফিসে চাঁদা নিতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন, ওই সময় সিনিয়র সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে মুচলেকা দিয়ে ওই অফিস থেকে ছাড়া পান।