ঢাকামঙ্গলবার , ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  1. অগ্নিকান্ড
  2. অনুষ্ঠান
  3. অপরাধ
  4. অবৈধ বালু উত্তোলন
  5. অভিনন্দন
  6. অর্থনীতি
  7. আইন ও বিচার
  8. আওয়ামী লীগ
  9. আওয়ামী লীগে
  10. আক্রান্ত
  11. আটক
  12. আত্মহত্যা
  13. আদালত
  14. আনন্দ মিছিল
  15. আন্তর্জাতিক
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পাইকগাছায় বৃক্ষ প্রেমিক সিদ্দিক তার কৃতকর্মের জন্য স্বীকৃতি ও সহযোগীতা চান সরকার ও প্রশাসনের কাছে ।

এফ,এম, এ রাজ্জাক পাইকগাছা, (খুলনা)
এপ্রিল ২৩, ২০২৪ ৫:৪৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পাইকগাছায় বৃক্ষ প্রেমিক সিদ্দিক তার কৃতকর্মের জন্য স্বীকৃতি ও সহযোগীতা চান সরকার ও প্রশাসনের কাছে ।
এফ,এম, এ রাজ্জাক পাইকগাছা, (খুলনা)
নাম সিদ্দিক মোড়ল (৬০)। এলাকার সকলের কাছে পরচিতি বকুল প্রেমিক বা বৃক্ষ প্রেমিক সিদ্দিক বলে। বিগত ৩৪ বছর ধরে খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস ও ক্লাবের সামনে এবং রাস্তার ধারে ১২ হাজারের বেশি বকুলগাছ লাগিয়েছেন এই হতদরিদ্র সিদ্দিক মোড়ল। বিটিভি’র জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে প্রচারিত হয় তার সাক্ষাতকার এবং তাকে দেয়া হয় ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার। হতদরিদ্র সিদ্দিকের বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্যামনগর গ্রামে। ৬০ বছর বয়সী সহজ-সরল সিদ্দিক মোড়ল গুছিয়ে কথা বলতে পারেন না। ছোট একটি কুঁড়েঘর ছাড়া আর কোন কিছু নেই তার। রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে ঘরটির ছাউনি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে পলিথিন। এ ঘরেই তিনি থাকেন স্ত্রীসহ দুই সন্তান নিয়ে। বকুল প্রেমিক সিদ্দিক মোড়ল শুধু পাইকগাছা উপজেলা নয়, ৩৪ বছরের বেশি সময় ধরে আশপাশের বিভিন্ন উপজেলাসহ যশোর ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস ও ক্লাবের সামনে এবং রাস্তার ধারে লাগিয়েছেন বকুলগাছ। এ পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি বকুলগাছ লাগিয়েছেন হতদরিদ্র সিদ্দিক মোড়ল। গাড়িতে চড়তে ভয় পান সিদ্দিক মোড়ল। তাই পায়ে হেঁটে যত দূর যাওয়া যায়, তত দূর পর্যন্ত তার লাগানো বকুলগাছের বিস্তৃত । শুধু গাছগুলো লাগিয়েই ক্ষ্যান্ত হন না সিদ্দিক, মাঝে মাঝে গিয়ে সেগুলোর পরিচর্যাও করেন। এলাকায় কোন বিশেষ অতিথি এলে সিদ্দিক মোড়ল বকুলগাছের চারা নিয়ে ছুটে যান তাকে উপহার দেয়ার জন্য। এসব কারণে এলাকায় তিনি ‘বকুল ট্রি সিদ্দিক ভাই’ নামে পরিচিত। নিজস্ব কোনো আয়ের উৎস নেই সিদ্দিক মোড়লের। পথের ধারে বা খাল-বিলে জন্ম নেয়া হেলেঞ্চা, কলমিসহ বনজ শাকসবজি তুলে বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। কিন্তু সেই মানুষটিই বিলিয়ে বেড়াচ্ছেন বকুলের সুবাস। সিদ্দিকের ছোট ভাই লুৎফর মোড়ল বলেন, সংসারে কষ্ট থাকলেও কোন প্রকার লোভ স্পর্শ করতে পারেনি তার ভাই সিদ্দিককে। পরিবার থেকে শত বাধার পরও তিনি দমে যাননি। আপনমনে বিনে পয়সায় বকুলগাছ লাগিয়ে চলেছেন । কেন শুধু বকুলগাছ লাগান জানতে চাইলে সিদ্দিক মোড়ল বলেন, বকুল গাছের ফুল ও ফল ছেলে মেয়েদের কাছে খুব প্রিয়। পাখিও এর ফল খায়। আর বকুল ফুলের সুগন্ধ যেকোন মানুষের মনকে ভাল করে দেয়। এ কারণেই বকুলগাছ লাগান তিনি। বকুল মাঝারি আকারের পাতাবহুল গাছ হলেও এটি ফুলের জন্য বেশি পরিচিত। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই এই গাছ দেখা যায়। তারকা আকৃতির এবং খুব ছোট বকুল ফুল রাতে ফোটে এবং দিনভর টুপটুপ করে গাছ থেকে মাটিতে ঝরে পড়ে। শুকিয়ে গেলেও অনেক দিন সুবাস থাকে বকুল ফুলের। ডিম্বাকৃতির লাল পাকা ফল কষ-মিষ্ট। পাখপাখালির পাশাপাশি কিশোর-তরুণেরা এ ফল মজা করে খায়। কখনোই গাছের সব পাতা ঝরে পড়ে না বলে এটি অন্যতম ছায়াবৃক্ষ। এর কাঠ অনেক শক্ত, তবে মসৃণ। সিদ্দিক মোড়ল বলেন, ‘শুধু মনের ইচ্ছা থেকেই বকুলগাছ লাগানো শুরু করি। প্রথমে চারটি গাছ লাগানোর পর মনের জোর বেড়ে যায়। এরপর যত দূর হেঁটে যাওয়া যায় তত দূর পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বকুলগাছ লাগিয়েছি। এভাবেই ৩৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং ক্লাবের জায়গায় একের পর এক বকুলগাছ লাগিয়েছেন তিনি। তাই এই বয়সে বৃক্ষ প্রেমিক সিদ্দিকতার কৃতকর্মের জন্য সরকারের স্বীকৃতি সহ সহযোগীতা কামনা করেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।