শুক্রবার , ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ফুটপাতে শীতের কাপড় কিনতে উপচেপড়া ভিড় পাইকগাছায়

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৪

ফুটপাতে শীতের কাপড় কিনতে উপচেপড়া ভিড় পাইকগাছায়

এফ এম এ রাজ্জাক পাইকগাছা (খুলনা)
সারাদেশের গ্রামাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ঠান্ডা কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। এরই মাঝে বাড়তে শুরু করছে শীতের কাপড়ের কদর। আর এই কাপড় সংগ্রহ করতে ইতোমধ্যেই ফুটপাতে ভিড় জমাচ্ছে নিম্নআয়ের ক্রেতা সাধারণ। সম্প্রতি পাইকগাছার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়ছে। খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার মহাসড়কের বিশাল ফুটপাতজুড়েই শীতের কাপড়ের পসরা সাজিয়েছে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা। সেখানে মানুষের দীর্ঘলাইন। বিভিন্ন শপিং মলের সামনে সড়কের দুপাশে ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ফুটপাতগুলোতে শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। পাইকগাছার শীত জেঁকে বসাই কদর বেড়েছে শীতের কাপড়ের। এ ছাড়া বিলাসবহুল অভিজাত মার্কেটগুলোতেও গরম পোশাক বিকিকিনি জমে ওঠেছে।সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পুরো নগরজুড়ে ছোটো ছোটো মার্কেট ও ফুটপাতে শীতের পোশাকের বেচাকেনা উৎসবে পরিণত হয়েছে। এদিকে, হকার্স মার্কেটের দুই পাশে অনেক নতুন পোশাকের দোকানে সাজানো রয়েছে সব বয়সি মানুষের নতুন শীতের পোশাক। সব বয়সের নারী-পুরুষের জ্যাকেট, ট্রাউজার, কার্ডিগ্যান, স্যুট, রেজার, টাই, চাদর, শান, কম্বল, শীতটুপি, মাফলার, উলের ফুলহাতা ও হাফহাতা জামা, জুতা ও মোজাসহ শীতবস্ত্রে দোকানগুলো ঠাসা। ফুটপাতগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে কানটুপি, মাফলার, হাত-পায়ের মোজা, গায়েরসোয়েটার, জ্যাকেট ইত্যাদি। গরিবের মার্কেট খ্যাত এসব বাজারে শীত কাপড়ের মূল্য একদম কম বললেও চলে। এর মধ্যে কানটুপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, মাফলার প্রতিটি ৭০ থেকে ১০০ টাকা, হাত-পায়ের মোজা প্রতি জোড়া ৩০ থেকে ১০০ টাকা, পুরুষের সোয়েটার ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, মহিলা সোয়েটারের ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, জ্যাকেট ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, চাদর ২০০ থেকে ৪০০ ঢাকা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বেচাকেনা চাল, তবে সন্ধ্যায় কাষ্টমারের উপচেপড়া ভিড় থাকে। পাইকগাছা বাজার এলাকার ফুটপাতের ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন  জানান, নিম্ন ও মধ্যবিতু শ্রেণির ক্রেতাই বেশি। অসহায় শীতার্ত মানুষও কম দামে শীতবস্ত্র ক্রয় করছেন। সরলের বাসিন্দা আবু সাইদ এলাকায় ফুটপাতের বাজার করতে আসা ভ্যানচালক রবিউল মিস্ত্রি বলেন, শীতে ঠাণ্ডায় পরিবারের লোকজন কষ্ট পাচ্ছে। নিরুপায় হয়ে গরম কাপড় কিনতে হচ্ছে। দাম একটু বেশিই নেয়া হচ্ছে। শীত যতই বাড়ছে, ততই বাহারি শীতের পোশাক বাজারে উঠছে। আরেক ক্রেতা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘শীতপোশাক কিনতে এসে দেখছি ক্রেতা বেড়েছে। বেড়েছে দোকানদার ও পোশাকের দামও।’ পাইকগাছার ফুটপাতের ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান বলেন, এ মৌসুমকে ঘিরে চাহিদা অনুযায়ী আমরা পোশাক সরবরাহ করি। নিম্নআয়ের মানুষরা খুষ অল্প দামে শীত কাপড় কিনতে পেরে খুশি হয়।