সোমবার , ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

বিরল রোগে আক্রান্ত শরীফা খাতুনের বাঁচার আকুতি!

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩

বিরল রোগে আক্রান্ত শরীফা খাতুনের বাঁচার আকুতি!

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি মোহাম্মদ রফিক সাতক্ষীরা।

পেমফিগাস ভালগারিস রোগে আক্রান্ত শরীফার জীবন বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীসহ বিত্তবানদের হস্তক্ষেপ কামনাঃ
সাতক্ষীরায় পেমফিগাস ভালগারিস রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ৪০ বছর বয়সী শরিফা খাতুন। তিনি সাতক্ষীরার পৌরসভার তালতলা এলাকার ভাজা বিক্রেতা তারিকুল ইসলামের স্ত্রী। বর্তমানে অর্থাভাবে উন্নত চিকিৎসাসেবা না পেয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।

সরেজমিনে অসুস্থ শরিফা খাতুনের বাসায় যেয়ে দেখা যায়, তার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পচেঁ গিয়ে ভয়ার্ত রূপ নিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। অর্থাভাবে চিকিৎসা না পাওয়াতে ক্রমশ তিনি মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। তারপরেও দুই চোখে তার বাঁচার করুন আকুতি।

এব্যাপারে তারিকুল ইসলামের মেয়ে তানিয়া সুলতানা কান্না বিজড়িত কন্ঠে জানান, একজন মানুষের শরীরের কোন অংশে একটু ঘা-পাঁচড়া হলে কেমন হয়? সেখানে আমার মায়েরতো পুরো দেহতে ঘা-পাঁচড়াসহ পচন ধরেছে। তবুও আমার গর্ভধারিনী মা কে বাঁচাতে চাই। প্লিজ আমার মাকে বাচাতে আপনারা সাহায্য করুন।
অনেকটা আক্ষেপ নিয়ে তানিয়া সুলতানা বলেন, মায়ের অসুস্থার মধ্যদিয়েও নিরলসভাবে সেবা শুশ্রুসা চালিয়ে এ বছর এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় সাতক্ষীরা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। তবে এই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ফরম পুরনের টাকা দেওয়ার সামর্থ্য ছিলনা আমার পরিবারের। একপর্যায়ে আমার বাবার দোকানে থাকা শেষ সম্বল গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করে ফরম ফিলাপ করে পরীক্ষা দিয়েছিলাম।জানি এত অর্থ কষ্টের মধ্যে আমার আর লেখা পড়া করা সম্ভব না তার পরও আমি হাল ছাড়তে চাই না। বর্তমানে আমি অন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলেও অর্থাভাবে সেখানে যাওয়া হয়না। বই কেনার সামর্থও নেই। বাসায় ঠিক মতো রান্নাবান্নাও হয়না। এখন মায়ের চিকিৎসার পাশাপাশি আমাদের ২ভাইবোনের লেখা পড়ার খরচ বহন করা অসম্ভব। এজন্য নিজের স্বপ্নকে অধরা রেখে মায়ের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। এসময় মায়ের চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীসহ সমাজের বিত্তবান মানুষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এব্যাপারে অসুস্থ্য শরিফা খাতুনের স্বামী তারিকুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে তার স্ত্রী শরিফা খাতুনের দেহে একধরনের লাল দাগ দেখা যায়। পরে সেখানে ঘা হয়ে পচঁনের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে তার পরিবার ভিটেবাড়ি পর্যন্ত বিক্রি করে সাতক্ষীরা,খুলনা ও ঢাকার বিভিন্ন