ভোলায় দৌলতখান উপজেলাদীন দক্ষিণ জয়নগর ৮ নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ নজির মেম্বার বাড়ি/মাতাব্বর বাড়িতে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে চারজন হসপিটালে এবং তিন জন জেল হাজতে।
ঘটনাস্থলে থাকা উপস্থিত সাক্ষী এবং স্থানীয় সালিশ মোহাম্মদ নোমান হাওলাদার ও পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যায় যে, গত ১৪/০৪/২০২৪ ইং তারিখ রোজ রবিবার সকাল অনুমান ১০:৩০ মিনিটে মোহাম্মদ নজীর মেম্বার বাড়িতে জমা-জমির শালিশ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু উভয় পক্ষের শালিশ উপস্থিত না হওয়াতে,উপস্থিত শালিস চলে যাওয়ার পর,ঘটনাস্থল দৌলতখান থানাধীন দক্ষিন জয়নগর ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড ২৬ নং দক্ষিণ জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তার উপর, মোহাম্মদ বজলুর রহমান মাতাব্বর (৪৫) মোহাম্মদ মিলন মাতাব্বর (৫৮) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মাতাব্বর (৪০) সর্ব পিতা- মৃত,মোহাম্মদ জেবল হক মাতাব্বর,মোহাম্মদ সিহাব মাতাব্বর (২৫) পিতা-মোহাম্মদ বজলুর রহমান,মোহাম্মদ ইমন মাতাব্বর (২২) পিতা-মোহাম্মদ মিলন মাতাব্বর দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে,মোহাম্মদ মন্নান মাতব্বর(৫০) এর বড় ছেলে,
মোহাম্মদ রুবেল মাতব্বর (২৮)কে দাড়ালো ছুড়ি দ্বারা পেটের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন।
পরবর্তীতে ছেলেকে বাচাতে মোহাম্মদ মন্নান মাতাব্বর ছুটে আসলে তাকেও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে।একপর্যায়ে মোহাম্মদ মন্নান মাতব্বর মাটিতে লুটিয়ে পড়লে,তার কান কামর দিয়ে ছিরে ফেলে।
এই অবস্থা দেখে মন্নানের স্ত্রী ছেলে এবং স্বামীকে বাঁচাতে ছুটে আসলে তাকেও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ও তার পায়ে ছুড়ি দিয়ে জখম করেন।এক পর্যায়ে বাবা,মা,ভাইকে বাচাতে মেয়ে মোসাম্মদ শারমিন(২৫) ছুটে আসলে তাকেও মেরে মাটিতে লুকিয়ে ফেলেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষী এবং সালিশ এবং স্থানীয়রা আরো জানান,এরা
পারিবারিক জমি-জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে,শালিশ হওয়ার কথা ছিল কিন্ত উভয় পক্ষের শালিস উপস্থিত না হওয়াতে উপস্থিত বাকি শালিশরা চলে যাওয়ার পর,মোহাম্মদ বজলুর রহমান (৪৫) মোহাম্মদ মিলন মাতাব্বর (৫৮) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর মাতাব্বর (৪০)মোহাম্মদ ইমন মাতাব্বর (২২)মোঃ শিহাব মাতবর(২৫) দেশীয় দাড়ালো অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে বেরিয়ে যায় এবং মোহাম্মদ আব্দুল মন্নান মাতাব্বর (৫০) এর পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালায়।এক পর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মোহাম্মদ আব্দুল মন্নান (৫০) এর পরিবারের সদস্যদেরকে জখম করেন এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি দ্বারা আঘাত করেন। এছাড়াও হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে শ্বাস রোধ করার চেষ্টা করেন।
একপর্যায়ে তাদের ডাক চিৎকার শুনে তাদেরকে বাঁচানোর জন্য আশপাশের পাড়া-প্রতিবেশিরা এগিেয় আসে।পরবর্তীতে স্থানীয় প্রতিবেশীরা হামলাকারীদের কবল থেকে মোহাম্মদ মন্নান মাতাব্বরের পরিবারের সদস্যদেরকে উদ্ধার করে,চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসেপাতালে পাঠায় কিন্তু আব্দুল মন্নান মাতব্বর এর বড় ছেলে মোহাম্মদ রুবেল মাতব্বর (২৮)এর শারীরিক অবস্থা আশংকা জনক বিদায় ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে বরিশাল শেরে বাংলা কলেজ এন্ড হাসপাতালে রেফার করেন। বরিশাল শেরেবাংলা কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাক্তার কে এম শাকিব এবং দায়িত্বরত পর্যবেক্ষকদের সাথে কথা বললে,তারা জানান রোগীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা ইম্প্রুভ হচ্ছে। কিন্তু রোগীর আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথা বললে জানা যায় যে,মোহাম্মদ রুবেলের মাতাব্বরের শারীরিক অবস্থার তেমন কোন উন্নতি হয়েছে বলে মনে হয় না।
উপরিউক্ত বিষয়টি সম্পর্কে দৌলতখান থানা ইনচার্জ সত্য রঞ্জন খাসকেল এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত মামলার আসামিদের মধ্য থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।এছাড়া স্থানীয় দক্ষিণ জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান জনাব নাজমুল হোসেন (বাচ্চু) এর সাথে কথা বললে, তিনি বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক। আব্দুল মন্নান মাতাব্বর আমার সাথে যোগাযোগ করেছিল আমি তার সাথে কথা বলেছি যে, আগে রোগী সুস্থ হোক তারপর সঠিক বিচার করব।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।