মরে গেলেন সাবেক মেজর জেনারেল
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
উত্তর চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার ৪ নং ধুম ইউনিয়নের নাহেরপুর গ্রামের বাসিন্দা, সাবেক সেনাবাহিনীর মেজর পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর প্রধান, সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশ ছাড়িয়ে সারা বিশ্ববাসীর জনপ্রিয়তায় শীর্ষে থাকায় ঈষান্বিত হওয়াএকদল বিপদগামী সেনা সদস্যদের হাতে নির্মমভাবে শাহাদত বরণকারী শহীদ জিয়াউর রহমান এর সময়ে সহযোগী খ্যাত সেনা কর্মকর্তা/সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল জহিরুল আমীন খান প্রকাশ জেড, এ খান ইন্তেকাল করার মাধ্যমে ইহ দুনিয়ার সকল মায়া ত্যাগ করে পর দুনিয়ার বাসিন্দা হয়ে যেতে বাধ্য হলেন।
তিনি সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল পদ থেকে অবসর গ্রহণ করার পর বিএনপি’র চেয়ারপার্সন, তৎ সময়ের প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আহবানে সাড়া দিয়ে যোগদান করেন বিএনপি’তে। দলে যোগদানের পর পর-ই দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে একক ক্ষমতা বলে বেগম খালেদা জিয়া তাকে বিএনপি চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য (সামরিক) হিসেবে নিয়োগ দেন। এর পর প্রধান মন্ত্রী হিসেবে তাকে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে ও নিয়োগ দিয়ে দেন উক্ত জেড, এ খান কে।
এ ছাড়া ও তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার নিজের এলাকা চট্টগ্রাম-১ মীরসরাই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রাপ্ত হয়ে নির্বাচন করার মানসিকতা পোষন করলে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তাকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, নির্বাচন করার আশা নিয়ে দেশের রাজধানী ঢাকাতে আরাম- আয়েসে বসে থাকলে চলবে না। যেতে হবে এলাকায়, মিশতে হবে দলীয় নেতা+কর্মী সহ সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের সাথে। এবং আদায় করে নিতে হবে সমর্থন। সে নীরিখে বেগম খালেদা জিয়া তাকে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এর মতো-ই দায়িত্ব দিয়ে দলীয় নেতা-কর্মী সহ সকল মীরসরাইবাসীর সুখ-দুঃখের সাথী হিসেবে কাজ করে যেতে বলেন। সেই থেকে তিনি যোগাযোগ স্থাপন করে ঢাকা থেকে মীরসরাই যাতায়াত শুরু করেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন এর পক্ষ থেকে এমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়ে মীরসরাই আসা-যাওয়া করতে করতে দলীয় নেতা-কর্মী সহ সাধারণ মানুষের সাথে মধুর সম্পর্ক সৃষ্টি করে নিজের একটা পাকাপোক্ত অবস্থান সৃষ্টি করে নিতে সক্ষম হন। কিন্তু, সামান্য ভুলের বশ:বতী শেষ পর্যন্ত একুল ওকুল দু’কুল-ই হারিয়ে ফেলেন তিনি।