শুক্রবার , ৫ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২১শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ২৯শে জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি

মেহেরপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা 

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪
মেহেরপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
মাহবুব, গাংনী
মেহেরপুরের গাংনীতে গলায় ফাঁস দিয়ে আয়েশা খাতুন (৫৩) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। আয়েশা লক্ষীনারায়ণপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের স্ত্রী। রোববার (৩০ জুন), ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে গাংনী উপজেলার কথুলী ইউনিয়নের লক্ষীনারায়নপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে এ আত্মহত্যার  ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ভোর রাতে ফজরের সালাত শেষে হাঁস-মুরগি ছেড়ে রান্না-বান্না শুরুর পূর্বেই তিনি গলায় ওড়না পেচিয়ে টিনের ঘরের আড়ার সাথে আত্মহত্যা করেন। কারণ হিসেবে কেউ কিছু না বললেও মেয়ে শিউলীর সাথে কলহের কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। নিহতের ছেলে সাদ্দাম হোসেন সিংগাপুর অবস্থান করা এবং  স্বামী ও মেয়ে বাড়ির দ্বি-তল ভবনে থাকায় বুঝতে না পেরে ঘুম থেকে উঠে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান আয়েশাকে। পরে পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে আশেপাশের বাড়ির লোকজন এসে ঝুলন্ত মরদেহ নিচে নামান।
নিহতের মেয়ে শিউলী জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। নিহতের স্বামী আব্দুল ওহাব বলেন, স্ট্রোকজনিত কারণে তিনার স্ত্রী মারা গেছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য আজমাইন হোসেন টুটুল জানান, শারীরিক অসুস্থতা ও মানুষিক যন্ত্রণার কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে এ বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে গ্রামের লোকজনের যদিও ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ তিনারা। লক্ষীনারায়নপুর এবং আশেপাশের গ্রামগুলোর প্রতিটা মানুষের মুখে মুখে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে মেয়ের সাথে কলহের জের ধরেই এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
নিততের বাবার বাড়ি হিন্দা গ্রামের লোকজনের মুখেও এ গুঞ্জন রয়েছে। তবে কি করবে ভাগ্নির কারনেই বোন আত্মহত্যা করেছে, এখন এসব কথা বলে আর কি লাভ? শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গাংনী থানার এসআই জহির ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি প্রথমে শারিরীক অসুস্থতার কারণে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানালেও ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে এবং তদন্ত চলমান বলে জানান।