সোমবার , ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ২৫শে জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি

মেহেরপুরে নারীর শ্লীতাহানির অভিযোগ ভন্ড কবিরাজ ওয়াসিমের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪
মেহেরপুরে নারীর শ্লীতাহানির অভিযোগ ভন্ড কবিরাজ ওয়াসিমের বিরুদ্ধে

মেহেরপুর ক্রাইম রিপোর্টার :

মেহেরপুর এক নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার  অভিযোগে উঠেছে ওয়াসিম নামের এক ভন্ড কবিরাজের বিরুদ্ধে, তার বাড়ি মুজিবনগর উপজেলার তারানগর জ-পুর, হলেও সে দ্বিতিয় বিয়ে করে মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়া ভাড়া বাসায় থাকে,ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে,অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে  শ্লীলতাহানির চেষ্টার শিকার ওই নারির শরিরে বিভিন্ন সময় জ্বালা পোড়া করে,লোক মাধ্যমে জানতে পারে ওয়াসিম নামের এক কবিরাজ নাকি সব রোগের চিকিৎসা করতে পারে,সেই বিশ্বাসে ঔ নারী তার খালা,খালাতো ভাই,এবং তার এক মামাতো বোনকে সাথে নিয়ে  কথিত  কবিরাজ ওয়াসিমের কাছে চিকিৎসা করাতে তার দোকানে আসেন,সে মল্লিকপাড়া বালিকা বিদ্যালয়ের পাশে নাফিজ এন্টার প্রাইজের মালিক।

ওই নারী ভন্ড কবিরাজ ওয়াসিমকে চিকিৎসা বাবদ ২৩শত টাকা প্রদান করলে চিকিৎসার নামে কথিত কবিরাজ ওয়াসিম শুরু করে অপচিকিৎসা,কথিত ওয়াসিম কবিরাজ তখন ওই নারিকে তার পাশে বসিয়ে বোরখা খুলতে বলে এবং ওই নারীর জামা উপরে উঠিয়ে তলপেট বের করতে বললেই  ওই নারি পেটবের করতে অশিকার করলে কথিত কবিরাজ জোর করে তার শ্লীতাহানি এবং পরনের কাপড় খুলার চেষ্টা করে, এবং চিকিৎসার নামে ধস্তাধস্তি শুরু করেন,এক পর্যায়ে ওই নারি জোরে চিৎকার করলে তার সাথে থাকা লোকজন তার উপর মারমুখি হলে ভন্ড কবিরাজ ওয়াসিম তাদের উপর চড়াও হয় এবং তাদেরকে ধাক্কা দিয়ে দোকান থেকে বের করে দিয়ে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়, আরেক জন ভুক্ত ভূগি মহিত বলেন কথিত কবিরাজ ওয়াসিম সাধারণত নারিদের চিকিৎসা বেশি করেন,সে এসব ভন্ডামি করে চিকিৎসার নামে সাধারন  মানুষের কাছ লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগো কমনাই তার বিরুদ্ধে সে আমার কাছ থেকেও কবিরাজির কথা বলে ২৫০০ টাকা নিয়ে কোন কাজ করেনি, তিনি আরো অভিযোগ করেন কথিত কবিরাজ ওয়াসিম এর আগে একাধিক নারির শ্লীতাহানির চেষ্টা করেছেন।
ওয়াসিম কবিরাজির নামে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে জিরো থেকে হিরো হয়েছে। শুধু তাই নয় কবিরাজির নাম করে মহিলাদের ও অসহায় যুবতী মেয়েদেরকে তার দোকানে  রেখে অনৈতিক কাজ করেও বলে অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে জানতে মেহেরপুর হোটেল বাজার কিমিটির সদস্য রাশেদুজ্জামান (রাসেদ) এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন সে আমাদের বাজার কমিটির কেউ না।