বৃহস্পতিবার , ৪ঠা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ২৮শে জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি

মেহেরপুরে বিয়ের দাবীতে ৫ দিন অবস্থান প্রেমিকার- বাড়ি ফেরালেন পুলিশ

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪
মেহেরপুরে বিয়ের দাবীতে ৫ দিন অবস্থান প্রেমিকার- বাড়ি ফেরালেন পুলিশ

মোঃ আব্দুল হামিদ, মেহেরপুর ক্রাইম রিপোর্টারঃ

তিন বছর আগে পরিচয়, সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে,প্রেম থেকে বিয়ের দাবীতে প্রেমিক শরিফুল ইসলামের বাড়িতে হাজির হন প্রেমিকা সুমাইয়া আক্তার, ৫ দিন  অবস্থান করলেও পুলিশের সহযোগিতায় বাড়ি ফেরেন প্রেমিকা সুমাইয়া আক্তার,ঘটনাটি মেহেরপুর সদর উপজেলার আলমপুর গ্রামে,প্রেমিক শরিফুল ইসলাম সেনাবাহিনীর সিভিল স্টাফ হিসেবে কর্মরত আছেন। অন্য দিকে ৬ মাস আগে শরিফুল পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন বলে দাবী করেন তার পরিবার,দু’পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন দাবি পুলিশের,তিন বছর আগে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে পিঠা উৎসবে দু’জনের পরিচয়,পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কথোপকথনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়,নয় মাস আগে হয় প্রেম সম্পর্ক।
শরিফুলের বড় ভাই মহিবুল ইসলাম জানান, পাঁচ দিন ধরে সুমাইয়া খাতুনের পরিবারের ৫ থেকে ১০ জন সদস্য আমাদের বাড়িতে অবস্থান করাই আমরা খুব সমস্যার মধ্যে আছি,সেই সাথে আমার পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে সুমাইয়ার ভাইসহ তার পরিবারের সদস্যরা,অন্য দিকে আমার ভাই ৬ মাস আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়েছে,মেয়ে বলছে বিয়ে করতে হবে।
আমরা এতদিন বাড়ি ছাড়া ছিলাম,পরে পুলিশ এসে মেয়েকে বাসা থেকে নিয়ে গেছে,তিনি আরো অভিযোগ করেন, গ্রামের কয়েকজনের ইন্ধনে মেয়ের ভাই জোর পূর্বক তার বোন কে আমাদের বাড়িতে রাখেন,পরে থানায় অভিযোগ সহ জরুরি সেবা ৯৯৯ কল করে পুলিশী সহায়তা নিতে হয়েছে আমাদের।
এদিকে তরুণী সুমাইয়া আক্তারের অভিযোগ,বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করেন তারা,গত ২৩ জুন ২০২৪ আমার সাথে দেখা করে চলে আসে,পরে আমি বিষয়গুলো তার পরিবারকে জানাতে আসলে আমাকে বসিয়ে রেখে পার্শ্ববর্তী চিৎলা গ্রামের এক তরুণীর সাথে বিয়ে করেন,পরে বিষয়টি আমি আমার পরিবারকে জানালে শারিফুল ইসলামের পরিবারের সকল সদস্য বাড়ি থেকে চলে যাই, স্থানীয়দের সহায়তায় গত পাঁচ দিন যাবত আমি বাড়িতে অবস্থান করলেও শারিফুল অথবা তার বাবা ও মা এখন পর্যন্ত আমার সাথে দেখা করেনি।
এবিষয়ে মেহেরপুর সদর থানার ওসি কনি মিয়া জানান, একটা মেয়েকে আমরা সেনাবাহীনির সিভিল স্টাফের বাসা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি,সে বিয়ের দাবীতে সেখানে অবস্থান করছিলো।