বৃহস্পতিবার , ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১লা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

যেসব কারণে রোযা ভেঙ্গে যায় এবং শুধু কাযা ওয়াজিব হয়

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

১। কানে বা নাকে ওষুধ দিলে ।

২। ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ ভরে বমি করলে বা অল্প বমি আসর পর তা গিলে ফেললে ।

৩। কুলি করার সময় অনিচ্ছাবশত কণ্ঠনালীতে পানি চলে গেলে ।

৪ । স্ত্রী বা কোনো নারীকে শুধু স্পর্শ প্রভৃতি করার কারণেই বীর্যপাত হয়ে গেলে।

৫। এমন কোন জিনিস খেলে যা সাধারণত খাওয়া হয় না। যেমন: কাঠ, লোহা, কাগজ, পাথর, মাটি, কয়লা ইত্যাদি ।

৬ । বিড়ি, সিগারেট বা হুক্কা সেবন করলে ।

৭ | আগরবাতি প্রভৃতির ধোঁয়া ইচ্ছাকৃতভাবে নাকে বা হলকে পৌছালে।

৮ । ভুলে পানাহার করার পর রোযা ভেঙ্গে গেছে মনে করে আবার ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কিছু পানাহার করলে ।

৯ । রাত আছে মনে করে সু্ব্-হে সাদেকের পরে সেহরী খেলে ।

১০। ইফতারীর সময় হয়নি, দিন রয়ে গেছে অথচ সময় হয়ে গেছে -এই হনে করে ইফতারী করলে।

১১। দুপুরের পরে রোযার নিয়ত করলে ।

১২। দাঁত দিয়ে রক্ত বের হলে তা যদি থুথুর চেয়ে পরিমাণে বেশি হয় এবং কণ্ঠনালীর নিচে চলে যায়।

১৩ । কেউ জোরপূর্বক রোযাদারের মুখে কোনো কিছু দিলে এবং তা কষ্ঠনালীতে পৌঁছে গেলে ।

১৪ । দাঁতে কোনো খাদ্য-টুকরো আঁটকে ছিল, সুব্-হে সাদেকের পর তা যি পেটে চলে যায়, তবে সে টুকরো ছোলা বুটের চেয়ে ছোট হলে রোযা ভেঙ্গে যায় না, তবে এরূপ করা মাকরূহ। কিন্তু মুখ থেকে বের করার পর গিলে ফেললে তা যতই ছোট হোক না কেন রোযা কাযা করতে হবে।
১৫। হস্তমৈথুন করলে যদি বীর্যপাত হয় ।
১৬। প্রোশ্রাবের রাস্তায় বা স্ত্রীর যোনিতে কোনো ওষুধ প্রবেশ করালে ।
১৭। পানি বা তেল দ্বারা ভিজা আঙ্গুল যোনিতে বা পায়খানার রাস্তায় প্রবেশ করালে ।
১৮ | শুকনো আঙ্গুল প্রবেশ করিয়ে পুরোটা বা কিছুটা বের করে আবার প্রবেশ করালে । আর যদি শুকনো আঙ্গুল একবার প্রবেশ করিয়ে একবারেই পুরোটা বের করে নেয় আবার প্রবেশ না করায়, তাহলে রোযার অসুবিধা হয় না।
১৯ । মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে গেলে এবং এ অবস্থায় সুব্- হে সাদেক হয়ে গেলে ।
২০। নস্যি গ্রহণ করলে বা কানে তেল ঢাললে ।
২১। কেউ রোযার নিয়তই যদি না করে তাহলেও শুধু কাযা ওয়াজিব হয় ।
২২। স্ত্রীর বেহুশ থাকা অবস্থায় কিংবা বে-খবর ঘুমন্ত অবস্থায় তার সাথে সহবাস করা হলে ঐ স্ত্রীর উপর শুধু কাযা ওয়াজিব হবে।
২৩। রমযান ব্যতীত অন্য নফল রোযা ভঙ্গ হলে শুধু কাযা ওয়াজিব হয় ।
২৪। এক দেশে রোযা শুরু করার পর অন্য দেশে চলে গেলে সেখানে যদি নিজের দেশের তুলনায় আগে ঈদ হয়ে যায় তাহলে নিজের দেশের হিসাবে যে কয়টা রোযা বাদ গিয়েছে তার কাযা করতে হবে | আর যদি সেখানে গিয়ে রোযা এক দু’টো বেড়ে যায় তাহলে সেই এক দু’টো রাখতে হবে ।

কিতাব :-
আহকামে জিন্দেগী
মাওলানা মোহাম্মদ হেমায়েতপুর উদ্দিন
সংগ্রহিতা
(মো: সানোয়ার উদ্দিন)