সোমবার , ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

সপ্তম শ্রেণী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের সমকামিতা

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

সপ্তম শ্রেণী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের সমকামিতা

জাহিদুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সমকামিতা ও ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ক বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক, যা জানা যাচ্ছে
জাতীয় শিক্ষাক্রমের এক পাঠ্যবইয়ে থাকা ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ক অধ্যায় নিয়ে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খণ্ডকালীন সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাবের বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে বিতর্ক ও আলোচনা।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে আসিফ মাহতাবকে ট্রান্সজেন্ডার এবং সমকামিতা বিরোধী বক্তব্য দিতে দেখা যায়। সেসময় তাকে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের এক অধ্যায়ে ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ক একটি গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলতেও দেখা যায়।

বিতর্কের সূত্রপাত এর পরই।

এরইমধ্যে, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগের খণ্ডকালীন প্রভাষক ওই শিক্ষকের সাথে চুক্তি বাতিল করেছে।

বিজ্ঞাপন
তবে, বিবিসি বাংলাকে মি. মাহতাব বলেছেন, নিজের দেয়া বক্তব্যকে তিনি সঠিক বলে মনে করেন। আইনজীবীদের সাথে ‌আলোচনার ভিত্তিতে তিনি মনে করেন, তিনি “আইনবিরোধী কোনো বক্তব্য দেননি।”

আরও পড়তে পারেন
মি. মাহতাব যে ‘শরীফ-শরীফা’র গল্পের উল্লেখ করেছেন, সেটি জাতীয় শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ের একটি গল্প। এতে হিজড়া জনগোষ্ঠীর সদস্য শরীফা নামে একজনের পরিচয় সম্পর্কে বলা হয়েছে।

এই গল্পে সমকামিতা প্রসঙ্গের কোনো উল্লেখ নেই।

অল্প সময়ের মধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়, এবং নেটিজেনদের মধ্যে দুইটি ভাগ দেখা যায়। এক পক্ষ সমকামিতা ও ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে বিদ্বেষপ্রসূত বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ করে মি. মাহতাবের সমালোচনা করেন।

আরেক পক্ষ মি. মাহতাবকে সমর্থন করে বক্তব্য দিতে থাকেন।

মি. মাহতাব যে সেমিনারে বক্তব্য দিয়েছিলেন, সেটি শুক্রবারে অনুষ্ঠিত হলেও, মূলত তিনদিন আগে থেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

ওইদিন মি. মাহতাবও নিজের ফেসবুক পেজে সেটি স্ট্যাটাস হিসেবে পোস্ট করেন এবং এরপর একের পর এক স্ট্যাটাস দিতে থাকেন।

এসব পোস্টে বিভিন্ন সময় তাকে ‘নিজের অবস্থানে অনড়’ থাকার আশ্বাস দিতে দেখা গেছে। ফেসবুকেই তাকে ব্র্যাক কর্তৃপক্ষ ‘চাকরিচ্যুত’ করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এদিকে, এই বিতর্কের মধ্যে ২২শে জানুয়ারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আসিফ মাহতাবের সাথে থাকা চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেয়।