সোমবার , ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

সাতক্ষীরার আশাশুনির অনার্স পড়ুয়া ছাএ মেহেদী বাঁচতে চায়।

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

সাতক্ষীরার আশাশুনির অনার্স পড়ুয়া ছাএ মেহেদী বাঁচতে চায়।

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি সাতক্ষীরা

আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান ও খুলনা সরকারী ব্রজলাল (বিএল) কলেজ এর অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসান দূরারোগ্য ব্যাধি “হেপাটাইটিস বি ভাইরাস”-এ আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত ২৪ ডিসেম্বর সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার শরীরে “হেপাটাইটিস বি ভাইরাস” ধরা পড়ে। বর্তমানে সে ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন আছে।
তার চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থ খরচ হচ্ছে যা দরিদ্র পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। তার চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সংস্থা বা সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়েছে। দরিদ্র কৃষক জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মেহেদী হাসান (২১) ২০২০ সালে গাবতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাশ করে। এরপর সাতক্ষীরা সরকারী কলেজে ভর্তি হয়ে ২০২২ সালে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাশ করে। বর্তমানে সে খুলনা সরকারী ব্রজলাল (বিএল) কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে অধ্যায়ন করছে। পড়ালেখার পাশাপাশি সে বিভিন্ন সরকারী চাকরির জন্য চেষ্টা করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় সে বিমান বাহিনীতে এ্যাডমিশনের লক্ষ্যে ঢাকায় অনির্বাণ একাডেমীতে কোচিং করার জন্য ঢাকাতে অবস্থান করা কালে গত ২৪ ডিসেম্বর বিকালে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় তাকে ঢাকায় সেনা ক্যাম্পের ভিতরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর চিকিৎসকের পরামর্শে বিভিন্ন পরীক্ষা করার পর তার শরীরে “হেপাটাইটিস বি ভাইরাস” ধরা পড়ে। তারপর তাকে সেখান থেকে নিয়ে ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসাধীন আছে।
দরিদ্র কৃষক পরিবারের দুই ছেলের মধ্যে ছোট ছেলের চিকিৎসার জন্য তার পিতা ইতিমধ্যে সহায় সম্বল বিক্রি করে ফেলেছেন। কিন্তু তাকে সুস্থ করে তুলতে আরও কয়েক লক্ষ টাকা প্রয়োজন। যে টাকা তার পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সংস্থা বা সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়েছে। তার চিকিৎসার সাহার্য পাঠানো বা পরিবারের সাথে কথা বলতে তার বাবার মোবাইল নম্বর ০১৮৬১—৩৮৯৪০০ (বিকাশ/নগদ) এই নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য পরিবারের পক্ষ পক্ষ থেকে অনরোধ জানানো হয়েছে।