রবিবার , ৭ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ১লা মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

স্ত্রী’র কারণে স্বামীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩

স্ত্রী’র কারণে স্বামীর আত্মহত্যা

কামরুল ইসলাম

স্ত্রীর ওড়না গলায় পেঁচিয়ে নিজ রুমের সিলিংফ্যানের সঙ্গে ঝুলে জাহাঙ্গীর আলম (২৮) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার (১৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
জাহাঙ্গীর পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের মনসা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ফোরক সওদাগরের বাড়ির আইয়ুব আলীর ছেলে।
নিহতের বড় ভাই আজগর আলী গণমাধ্যম কে বলেন, জাহাঙ্গীর একটি বেসরকারি ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার পদে ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। সাপ্তাহিক ছুটিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সে বাড়িতে আসে। গত ছয় মাস আগে তার সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের গৈড়লা গ্রামের মোহাম্মদ হারুনের মেয়ে জেরিন আকতারের সাথে। বর্তমানে তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় গত ১ মাস ধরে বাবার বাড়িতে রয়েছে।
আজগর জানান, আজ শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে জাহাঙ্গীরের কক্ষ ভিতর থেকে বন্ধ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। অনেক ডাকাডাকির পরও সে দরজা খুলেনি। হঠাৎ তার রুম থেকে শব্দ হলে রুমের দরজা ভেঙে দেখেন, জাহাঙ্গীর ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ওড়না ছিড়ে নিচে পড়ে যান। পরে সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কি কারণে সে গলায় ফাঁস দিয়েছেন তা জানি না।
কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য আকলিমা আক্তার জানান, তাদের যৌথ পরিবার। পরিবারে জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর কাজের প্রতি অনীহা থাকায় জাহাঙ্গীরের বাবা তার শ্বশুরকে (স্ত্রীর বাবা) কয়েকদিন আগে বিষয়টি জানান। এ নিয়ে পারিবারিক ঝগড়ার জেরে সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রিটন সরকার গনমাধ্যমকে বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষ করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে