হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ শিক্ষার্থী ক্যান্সারে আক্রান্ত বেঁচে থাকার আকুতি
মোঃরইস উদ্দীন রিপন স্টাফ রিপোর্টারঃ
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলার ভাটিবন্দর এলাকার সোহানুর রহমান শাওন নামের এক অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী,ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অতি কষ্টে দিন যাপন করছেন।শাওন ছোটবেলায় হারিয়েছেন তার বাবা-মাকে।মা-বাবাকে হারিয়ে বড় বোনদের নিকট মানুষ হন তিনি।অর্থের টানাপোড়েনে সংসার চালাতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল,তখন বিভিন্ন কাজ করে নিজের উপার্জনের টাকায় লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে আসছিলো শাওন।সবকিছু মিলিয়ে বড় বোনদের সাথে ভালোই চলছিল শাওনের পরিবার।হঠাৎ এরই মধ্যে চলতি বছরের জুন মাসে(৫ মাস পূর্বে)শাওনের দুই হাত ও দুই পা অবশ হয়ে যায়।হাসপাতালে চিকিৎসার পর শাওনের ধরা পড়ে মরণব্যাধি ক্যান্সার।সরে জমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়-সোনারগাঁ পিরোজপুর ইউনিয়নের ভাটিবন্দর এলাকার মৃত মোস্তফা কামালের ছেলে সোহানুর রহমান শাওন,রাজধানীর হাবিবুল্লাহ বাহার ইউনিভার্সিটি কলেজের সমাজকর্ম বিষয়ক স্নাতক(সম্মান)শেষ পর্বে পড়াশোনা করছে।পাশাপাশি লেখাপড়ার খরচ জোগাতে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তায় একটি ঔষধ ফার্মেসিতে চাকরি করতেন।কিন্তু হঠাৎ চলতি বছরের জুন মাসে দুই হাত-পা অবশ হয়ে হজকিন লিম্ফোমা নামের(ক্যান্সার)ধরা পড়লে তার পরিবারে নেমে আসে দুর্যোগের ছায়া।ক্যান্সার অসুস্থতার কারণে ঔষধ ফার্মেসিতে যেতে না পারায় শাওনের চাকরি হারাতে হয়।অপরদিকে অসুস্থতার কারনে স্নাতক শেষ পর্বের ফাইনাল পরীক্ষা দিতে ব্যর্থ হয় শাওন।হুইল চেয়ারে বসে দিন অতিবাহিত করছে শাওন।এর ফলে তার ভবিষ্যত স্বপ্নের দুয়ার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।শাওন বর্তমানে অর্থের অভাব অনটনে পড়ে তার চিকিৎসার ব্যয়বহার বহন করতে পারছেন না।হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ শিক্ষার্থী শাওনের সাথে কথা হলে তিনি জানান-বাবা মাকে হারিয়েছি প্রায় পাঁচ বছর বয়সে।তারপর বড় বোনদের কাছে লালিত পালিত হই।ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ছয় মাস যাবত আমার দুই হাত এবং দুই পা অবস হয়ে রয়েছে।আমার বিছানা এবং হুইল চেয়ার এখন নিত্যদিনের সঙ্গী।এর পূর্বে আমার ঘাড়ে একটি বড় অপারেশন হয়।অপারেশনের কিছুদিন পর চিকিৎসক আমার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান।তারপর চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট দেখে জানায়-আমার হজকিন লিম্ফোমা নামক(ক্যান্সার)হয়েছে।চিকিৎসার ব্যাপারে শাওন আরো জানায়-সর্বশেষ রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে সে চিকিৎসা করিয়াছেন।আজগর আলী হাসপাতালের চিকিৎসক তার এই ক্যান্সার হতে সুস্থতার জন্যে কেমোথেরাপি ও বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট অপারেশন করা লাগবে।এই চিকিৎসার খরচ অনেক ব্যয়বহুল এবং সব মিলিয়ে আনুমানিক খরচ প্রায় ২৫ লাখ টাকার মতো।ইতিমধ্যে অনেক টাকা আমার এই চিকিৎসার জন্যে ব্যয় করে ফেলেছি।আমি আমার পৈত্রিক বাড়ি বিক্রি করে আমার চিকিৎসা খরচ যোগাতে চাই।জমি সংক্রান্ত কারণে,আমার পৈতৃক বাড়ি বিক্রি করতে পারছি না।শাওন পাথর চাপা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন-আমি এই সুন্দর পৃথিবীতে বাঁচতে চাই।চিকিৎসক বলেছিলেন সঠিক চিকিৎসা পেলে আমি ভালো হয়ে যেতে পারি।আমি আর এই জীবন সহ্য করতে পারছি না।আমার এই জীবন পরিবারের নিকট এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।আল্লাহ তায়াআলা আমাকে এভাবে বাঁচিয়ে না রেখে,আমাকে মৃত্যু দিলে খুশি হতাম।শাওনের বড় বোন সুমা আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন-বাবা মায়ের মৃত্যুর পর শাওনকে কোলে পিঠে করে বড় করেছি।বাবা-মায়ের অভাব কখনো শাওনকে বুঝতে দেইনি।কিন্তু হঠাৎ শাওনের ক্যান্সার ধরা পড়ায় তার ক্যান্সারের চিকিৎসার ব্যায় বহন করতে পারছি না।আমাদের মতো পরিবারের কাছে শাওনের চিকিৎসার খরচ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।তাই আমি আমার ছোট ভাই শাওনের চিকিৎসার খরচের জন্যে,সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছি।শাওনের চিকিৎসার খবর শুনে স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা বলেছেন তাদের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন।উল্লেখ্যঃহজকিন লিম্ফোমা(এইচ এল)একটি দ্রুত বর্ধনশীল(আক্রমণাত্মক)রক্তের ক্যান্সার।এই রোগের জীবাণু এক ধরনের সাদা রক্তের কনিকা শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়কে প্রভাবিত করে।বি-সেল লিম্ফোসাইট যা আপনার ইমিউন সিস্টেমের অংশ।সহৃদয়বান ব্যক্তিগণ আর্থিক সহযোগিতা করতে পারেন,ক্যান্সার আক্রান্ত শাওনের বিকাশ(নিজের) নাম্বার-০১৬২৭৩৯৩২২৪(পার্সোনাল)