আবুল কালাম গংএর তান্ডবে রমজান মাসে ও পানি বিদ্যুতের সুবিধা বঞ্চিত রেমিটেন্স যোদ্ধাদের পরিবার
কামরুল ইসলাম
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার ২নং হাফছড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বড়পিলাকের মৃতঃ আইনউদ্দিনের ছুট ছেলে প্রভাব শালী আবুল কালাম গং ও তার সহযোগী রা যোগসাজশে একই এলাকার প্রতিবেশী প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধার পরিবারের সদস্য দের উপর চালাচ্ছে অমানবিক নির্যাতন।
ভূমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে পানি ও বিদ্যুত সুবিধা থেকে বঞ্চিত গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক গ্রামের প্রবাসী পরিবার।তাঁদের পানি ও বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়েছে প্রভাবশালী প্রতিবেশী প্রতিপক্ষ হত্যারচেষ্টা, ভূমি জবর দখল ও চুরিসহ একাধিক মামরার আসামী আবুল কালাম গংরা। ফলে পবিত্র রমজান মাসেও শতবর্ষী বৃদ্ধসহ চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে অসহায় এই প্রবাসীর পরিবার।
মানুষের বেঁচ থাকার জন্য প্রধান ও মৌলিক উপাদান পানি,সব প্রাণেরই উৎস পানি এবং সবাই পানির ওপর নির্ভরশীল।
পানি ছাড়া মানুষ কিংবা জীবজন্তু,এমনকি কোনো উদ্ভিদও বাঁচতে পারে না,পানি ছাড়া জীবনের অস্তিত্ব কল্পনা করা অসম্ভব,কারন বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন।
এমন একটি স্পর্শকাতর উপকরন থেকে দীর্ঘ প্রায় দেড় মাস যাবত বঞ্চিত প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধাদের অসহায় পরিবার।
এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিসহ জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং প্রশাসনের ধারে ধারে ধর্ণা দিয়েও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না অসহায় এই রেমিটেন্স যোদ্ধার পরিবার ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,রেমিটেন্স যোদ্ধার স্ত্রী লুৎফা বেগম,মাহাবুব আলী (সেন্টু) , জুহর আলী সহ প্রবাসীদের পরিবারের সাথে কথিত প্রভাব শালী আবুল কালাম ভূমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে।
এর জের ধরে কথিত এ প্রভাব শালী আবুল কালাম প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধাদের পরিবারের পানির সাবমারসিবল পাম্পের পাইভ এবং বিদ্যুত সার্ভিসের লাইন কেটে দেয়।বার বার চেষ্টা করেও তাঁরা পানির পাইভ এবং বিদ্যুত সংযোগ পায়নি।
ভূক্তভুগী প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধার স্ত্রী লুৎফা বেগম জানান,পরিবারের সকল সদস্য সহ আমার শতবর্ষী বয়সের শশুরকে নিয়ে অনেক কষ্টে রয়েছি।
দীর্ঘ দিন ধরে আমার শতবর্ষী বয়সের শশুর বিছানায় প্রসাব পায়খানা করে।পানির অভাবে আমার শশুরকে সঠিক সময়ে পরিস্কার করতে পারছি না।পবিত্র রমজান মাসেও আমরা চরম মানবেতর জীবন-যাপন করছি। এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা আবাসিক প্রকৌশলী বিদ্যৎ কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করি এবং গুইমারা থানায় বারাবরে ও অভিযোগ করি,কিন্তু কোনো ফল পাইনি। ভিবিন্ন কৌশলে প্রভাব খাটিয়ে সে পার পেয়ে যাচ্ছে। আমরা রেমিটেন্স যোদ্ধার পরিবারের সদস্য হিসেবে এর সুবিচার চাই।
এলাকার প্রবীণ শতবর্ষী মুরুব্বি আব্দুল হাই মুন্সি বলেন,প্রায় ৩০বছর যাবৎ নাজিম উদ্দিনের পরিবার তথা লুৎফা বেগম এই জায়গায় বাগ বাগিচা সৃজন করে ভোগ দখলে বিদ্যমান থেকে বসবাস রত আছে। তাঁদের সাথে প্রতিবেশীর এমন ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শীর্ষে । এর কঠিন বিচার হওয়া উচিত।
এবিষয়ে ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মো: ছানা উল্যাহ জানান,আমরা এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ বেশ কয়েকবার দেন দরবার করেও কোনো সুরাহা করতে পারেনি।আবুল কালাম (গং) কারো কথাই শুনতে চায়না কাওকে তোয়াক্কা ও করে না।
হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মংশে চৌধুরী বলেন, সে অত্যান্ত দুষ্ট প্রকৃতির লোক।অত্র হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চাইথোয়াই চৌধুরী, আমি সহ এলাকাবাসী গন্যমান্য ব্যক্তি দের সাথে নিয়ে তর্কিত ভূমির বিরোধ নিস্পত্তির জন্য অনেকবার চেষ্টা করেছি।পানি এবং বিদ্যুতের বিষয়ে বার বার বলার পরও সে আমাদের কথা শুনছে না।
অভিযোগের বিষয়ে আবুল কালামের কাছে জানতে চাইলে,তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করলেও তার কথা বার্তায় পানিও বিদ্যুৎতের লাইন তার ইঙ্গিতে কেটেছে বলে ধারনা পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিব চন্দ্র কর বলেন,তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে
ইতিপূর্বে তাকে আমরা গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছি।
জামিনে বের হয়ে সে আবার অপরাধ করছে, খুব দ্রুত পানি ও বিদ্যুৎ বিহীন পরিবারে সংযোগ দেওয়ার ব্যাবস্হা গ্রহন করে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যাবস্থা নিব।
উল্লেখ্য ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা, যোগসাজশে ভুমি জবর দখল ও গাছ কাটার অপরাধ সহ গুইমারা থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। যার নং৩৭৭/২৩ তারিখ১০/০১/২০২৩ ও ১/১৮ তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০২০ইং