জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ পশুর হাটে ‘মহারাজা’, ব্লাক ডায়ন্ড আর জায়েদ খানে নজর কাড়ছে ক্রেতাদের
মোঃ আল আমীন জগন্নাথপুর( সুনামগঞ্জ)
প্রবাসি অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর রানীগঞ্জে এখনও পুরোদমে জমে উঠেনি কোরবানির হাট। তবে “মহারাজা ও ব্লাক ডায়মন্ড, জায়েদ খান ” নামের তিনটি
বিশালদেহীর ষাড় নজর কাড়ছে ক্রেতাদের।
আজ সোমবার দুপুরে সরেজমিনে রানীগঞ্জ বাজার পশুর হাট ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
হাটে বিশাল আকৃতির হালকা লাল বাদামী রঙের “মহারাজা ” নামের ওই ষাঁড়টির দাম হাঁকানো হচ্ছে ৭ লাখ টাকা। অন্যদিকে কালো রঙের “ব্লাক ডায়মন্ড” ষাঁড়টির দাম চাওয়া হচ্ছে সাড়ে ৬ লাখ টাকা ও সাদা কালো মিক্স জায়েদ খান নামের ষাঁড়ের দাম ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ।
এরমধ্যে কয়েকজন ক্রেতা ষাঁড় গুলো দরদাম করছেন। ন্যায্যমূল্যে পেলে ষাঁড় তিনটি বিক্রি করে দেবেন বলে জানান মালিকেরা।
“মহারাজার” মালিক উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নারকেল তলা গ্রামের মঠাই মিয়া বলেন, ফিজিয়ান জাতের বাচুর ২ বছর আগে কিনেছিলাম ষাঁড়টির নামা ভালবেসে রাখা হয়েছে “মহারাজা”। প্রথম বারের মত এ বারই হাটে তোলা হয়েছে ষাঁড়টিকে। ১৮ মণ ওজনের ষাঁড়টির দাম চাওয়া হচ্ছে ৭ লাখ টাকা। তবে দরদাম করার সুযোগ রয়েছে।
ব্লাক ডায়মন্ড এর মালিক রানীগঞ্জ ইসলাম পুর গ্রামের সাদাত মিয়া বলেন আমার ৪০ টির মতো গরু আছে খামারের মাধ্যে “ব্লাক ডায়মন্ড” এই ষাঁড়টি আমার খুবই প্রিয় ন্যায্যমূল্য পেলে বিক্রি করে দিবো,ক্রেতাদের সাথে দর দাম হচ্ছে।
জায়েদ খান নামের ষাঁড়ের মালিক নবীগঞ্জ কাজির বাজার এর বাসিন্দা তিনি বলেন এই ষাঁড় আমার নিজ ঘরের গাভীর বাচুর ৩ বছর লালনপালন করেছি। ষাঁড়টি খুবই দেখতে শুনতে সুন্দর মোটাতাজা তাই নাম দিছি জায়েদ খান। ষাঁড়ের ন্যায্য দাম পেলে বিক্রি করবো। ক্রেতারা দরদাম করছেন।
রানীগঞ্জ পশুর হাটের ইজারাদার হাজী চাঁন মিয়া বলেন, আজকে হাটে প্রচুর গবাদিপশু উঠেছে। তবে ক্রেতা কম বৃষ্টি ও বন্যার কারনে। ঈদের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে জমে উঠবে হাট। আগামী বৃহস্পতিবার ও রবিবার আমাদের পশুর হাট বসবে, সবাই আসবে বলে আশাবাদী। প্রতি বছরের মত এবারও গরু প্রতি সাতশো টাকা ও ছাগল প্রতি ৩০০ টাকা হাসিল আদায় করা হচ্ছে। দেশিয় জাতের গরু ছাগল বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে বিক্রেতার সংখ্যা বেশি থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা কম রয়েছে।