জয়পুরহাটে পৃথক হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন
স্টাফ রিপোর্টার আঃ রাজ্জাক
জয়পুরহাট সদর উপজেলার কড়ই কাদিপুর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে আব্দুল আলী নামে পুকুরের এক পাহারাদার হত্যা মামলায় দুই সহোদর ভাইসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশও দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সদর উপজেলার কড়ই কাদিরপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে আমিনুর ইসলাম (৫১), ইদা মন্ডলের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৫৯) ও আব্দুল হান্নান (৫৬), মানিক মিয়ার ছেলে আনোয়ার (৪৯) আফির উদ্দীন ওরফে আফিল উদ্দিনের ছেলে দুদু (৪৯) ও মৃত আয়েজ উদ্দীনের ছেলে ঘুটু আলম (৪৪)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে ২০০৯ সালের ৭ মার্চ সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়নের রশিদার বম্বু ইউনিয়নের হিচমী ফকিরপাড়া গ্রামের আব্দুল আলীম (৬২) রাতের খাবার খেয়ে পার্শ্ববর্তী কড়ই কাদিরপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান মৌলভীর পুকুর পাহারা দিতে যান। পরদিন সকালে পুকুর পাড়ের পার্শ্বে ধান ক্ষেতের ভেতরে হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোসলেমা বেগম ২০০৯ সালের ৮ মার্চ বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফারুক খলিল তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের সালের ২২ জুলাই আদালতে ছয় জনের নামে অভিযোগপত্র দেন। এরপর দীর্ঘ শুনানিতে ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় দেন বিচারক।
অপরদিকে আক্কেলপুর উপজেলায় লক্ষিভিটা গ্রামে খাজা মদ্দীনের ছেলে আমিনুল ইসলামের সহিত হত্যার চার বছর পৃর্বে জুলেখার সংঙ্গে বিয়ে হয় ২০০০ সালের (৫মে) সংসার জীবনে জুলেখার শরীরে শক্ত লাঠি দ্বারা বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে জুলেখা অসুস্ত হলে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে উন্নত চিকিৎসার জন্য নওগাঁ যাওয়ার পথিমধ্যে জুলেখা মারা জান৷ এ ঘটনায় নিহতের বাবা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আজ স্ত্রী হত্যার দায়ের আমিনুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে৷
বাদীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল ও উদয় সিং এপিপি।
আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ ই এম খলিলুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান ও হেনা কবির৷