জয়পুরহাটে মজিবর রহমান (৭৮) হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
স্টাফ রিপোর্টারঃ-
এম এ মোতালেব প্রধান।
জয়পুরহাটে মজিবর রহমান (৭৮) হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশের
আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সেই সঙ্গে তাঁদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই মামলার অন্য একটি ধারায় তাঁদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক আব্বাস উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন। আসামিরা পলাতক থাকায় রায় ঘোষণার সময় তাঁরা অনুপস্থিতিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার তেলীহার গ্রামের লুৎফর রহমান (৪৫), জেলার সদর উপজেলার পশ্চিম পারুলিয়া গ্রামের মজিবর রহমানের দুই ছেলে জাফর ওরফে ইয়ারব হোসেন (৩৫) এবং আমিনুল ইসলাম ওরফে রিয়াদুল (৩৩)।
জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর সদর উপজেলার পশ্চিম পারুলিয়া গ্রামে মজিবর রহমান তাঁর নিজ বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন। সেদিন দিবাগত রাত প্রায় আড়াইটার দিকে একদল ডাকাত মজিবর রহমানের বাড়ির প্রাচীর টপকিয়ে তাঁর শোয়ার ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতেরা মজিবর রহমানকে ছুরিকাঘাত করে তাঁর কাছ থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। তখন মজিবর রহমান চিৎকার দেন। মজিবর রহমানের চিৎকারে পাশের ঘরে থাকা তাঁর দুই সন্তান আব্দুর রাজ্জাক ও এরশাদ ঘর থেকে বের হয়ে আসেন। সে সময় তাঁরা ডাকাতদের ঝাপটে ধরেন।
তখন অবস্থা বেগতিক দেখে, ডাকাতেরা মজিবরের ছেলে এরশাদকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। ওই সময় মজিবরের পরিবারের লোকজন প্রতিবেশী জাফরকে চিনতে পারেন। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মজিবর রহমান ও তাঁর ছেলে এরশাদকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল নিয়ে যান। সে সময় কর্ত্যবরত চিকিৎসক মজিবর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। আর তাঁর ছেলে এরশাদকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেন।
ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে ২০০৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর জয়পুরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রায়হান ২০০৮ সালের ২৮ মার্চ তিনজনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর দীর্ঘ শুনানি ও যাবতীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আজ সোমবার দুপুরে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।