মোঃ কবির হাওলাদার
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
পটুয়খালী জেলার দুমকি উপজেলায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণ মামলা নিয়ে পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই মামলার ২ নং আসামী মোঃ রাসেল হাওলাদারের স্ত্রী নাজিয়া আক্তার ও ইউপি সদস্য নাসির হাওলাদার। গত ইউপি নির্বাচনে ইউপি সদস্য নাসির হাওলাদারের পক্ষ না করায় বাদিকে কু-পরামর্শ দিয়ে মিথ্যে মামলায় রাসেল হাওলাদারকে জড়িয়ে দেয়া হয়েছে মর্মে অভিযোগ করে মঙ্গলবার(২৬ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী নাজিয়া আক্তার। এরই প্রতিবাদে ওই সংবাদ সম্মেলনটিতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে এমন দাবী করে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুমকী প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন ইউপি সদস্য মো. নাসির হাওলাদার। পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন নিয়ে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে নাসির হাওলাদার জানান, ঐ ধর্ষণ মামলায় স্বাক্ষী থাকার কারণে তাঁর নামে মিথ্যা অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। তাঁকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা দৃষ্টিগোচর হলে তিনি এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তাঁর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কতিপয় কুচক্রীমহল অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনি ঘটনার সঠিক তদন্তপূর্বক প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জোড় দাবি জানিয়েছেন। এ দিকে ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ৫/৬ মাস পূর্বে প্রতিবেশী অমল দাস কর্তৃক জোসনা আক্তার ধর্ষণ শিকার হন। এরপর স্থানীয় শহিদ হাওলাদার নামে এক গণ্যমান্য লোকের কাছে বিচার দিয়ে কোন সুরাহা না পেয়ে পার্শ্ববর্তী ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান ফোরকানের কাছে বিচার দেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান ফোরকান বলেন, ঘটনা যেহেতু আমার ওয়ার্ডের না। তাই নাসির মেম্বারকে সত্য মিথ্যা যাচাই পূর্বক উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলছি। ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসির হাওলাদার বলেন, পূর্বে এরকম ঘটনা ঘটেছে কিনা তা আমি জানিনা। আমাকে শহিদ হাওলাদার বা ফোরকান মেম্বার কেউ এরকম ঘটনার কথা জানায় নি। উল্লেখ্য, গত ২২ শে সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) উপজেলার দক্ষিন মুরাদিয়া এলাকায় এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণের শিকার হন। পরের দিন বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন ঐ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীর মা কহিনুর বেগম যা বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।