ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ১ নং গেদুড়া ইউনিয়নের পাঁচঘরিয়া গ্রামের সুলতান আলীর পুত্র মোঃ রহিদুল ইসলাম কে গত ১২ আগস্ট ভোর আনুমানিক ৫.৩০ মিনিটে হাত পা মুখ দড়ি এবং পলিথিন দিয়ে বাঁধা অবস্থায় নিজ বাড়ির পার্শ্বে তার মা ও প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।সম্পূর্ণ সুস্থ্য অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসে।
এ খবর পাবলিক মিডিয়ায় প্রকাশ হলে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয় এবং আতংক ছড়িয়ে পড়ে।স্থানীয় জনসাধাণ জনপ্রতিনিধি পুলিশ সাংবাদিক উদ্বিগ্ন ও দিশেহারা হয়ে পড়ে।
পরে এ এস আই মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তোমাকে কারা এমন করেছে প্রশ্নের জবাবে
সে জানায় ভোরবেলা মাদ্রাসায় আমি ওজু করার পর যখন মাদরাসার বারান্দায় উঠি ঠিক তখন পিছন থেকে বোরকা পরিহিতা দুজন লোক আমাকে ধরে নিয়ে যাই আমি তখন অজ্ঞান হয়ে পড়ি।এরপর কিছু বলতে পারি না।
এই ঘটনা
মিডিয়ায় বিভিন্নভাবে সংবাদ প্রকাশিত হতে থাকে।পরবর্তীতে জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তাজুল ইসলাম পুনরায় নিবিড় তদন্তে নেমে পড়েন।
এবং অতি স্বল্প সময়েই বিচক্ষণ এই ও সি অত্যন্ত সুকৌশলে উক্ত ভন্ড রহিদুল এর কাছ থেকে সত্য কথা বাহির করে ছাড়েন।
উক্ত ভন্ড প্রতারক জানায় সে পড়ার লেখার ভয়ে এমনটি করেছিল।পরে তার শরীর বেঁধে ফেলার দৃশ্য পুনরায় সে লোকজনকে দেখায়।
ক্লুলেস একটি ঘটনার রহস্য দ্রুত সময়ে উদঘাটন করায় সাধারণ মানুষ পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।