মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মালয়েশিয়ায় উৎসাহ, উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে
মোক্তার হোসাইন মালয়েশিয়া প্রতিনিধিঃ
মালয়েশিয়ায় লাখো প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন, যারা পরিবার থেকে দূরে সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদ পালন করেছেন।
ঈদ মানে খুশির দিন। এই দিনে সবাই পরিবার, আপনজন বা বন্ধু বান্ধবদের সাথে আনন্দ করে। কিন্তু অনেকে আছে যারা ঈদের সময় বাড়িতে আসতে পারে না। পরিবারের সাথে ঈদের সময় টুকু পার করতে চাইলেও, তা আর সম্ভব হয় না। মনের আবেগ ও অনুভূতি একাকী ভোগ করতে হয়।
যারা দেশে অবস্থান করে তারা হয়তো বছরে ১ টি ঈদ পরিবারের সাথে কাটাতে পারে। কিন্তু যারা প্রবাসী আছে, তারা বছরের পর বছর প্রতি টি ঈদ বন্ধু-বান্ধব, প্রিয়জন বা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ভাবে কাটাতে থাকে। এক সময় তাদের কষ্টে সময় পার হয়ে যায়।ঈদ মানে খুশি হলেও প্রবাসীদের ঈদ আসলেই কষ্টের।
প্রবাসীদের কপালে সুখটা খুব কমই থাকে, কারণ তারা সুখগুলা বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে কষ্টের প্রবাসে চলে যায় শুধু পরিবারটা একটু ভালো থাকবে বলে।
কারণ পরিবারের লোকজন ছাড়াই এখানে ঈদ পালন করতে হয়। ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ মালয়েশিয়ায় উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। মালয়েশিয়ার জাতীয় মসজিদ নেগারায় ঈদের নামাজে অংশ নেন দেশটির বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে মালয়সহ প্রায় ৭টি দেশের ধর্মপ্রাণ অভিবাসী মুসল্লিরা একসাথে সকাল সাড়ে ৮ টায় ঈদের জামাত আদায় করে।
এদিকে কুয়ালালামপুরের কেপং বাংলাদেশি মসজিদ মুহাজেরিন এর উদ্যেগে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সোয়া আটটায় শুরু হওয়া এই জামাতে মসজিদ পরিচালনা কমিটির মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন রানা, মোঃ আশরাফ, নাসির উদ্দিন, চাঁন মিয়াঁ, আলমাস, পারভেজ, কামাল হোসেন, বাদশা, আলম, নাদিমসহ অংশ নেন প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি। জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ মোঃ শাহজাহান।
নামাজ শেষে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা। শেষে প্রবাসীরা কোলাকুলির পাশাপাশি একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
কেপং বাংলাদেশি মসজিদ ছাড়াও চৌকিট বাংলাদেশি মসজিদ বায়তুল মোকাররম, কোতারায়া বাংলা মসজিদ, বুকিট বিনতাং বাংলাদেশি মসজিদ, সুবাংজায়া বাংলাদেশি মসজিদ, শ্রীমুডা বাংলাদেশি মসজিদ, ক্লাং, পেনাং, সুঙ্গাইবুলু, পুচং, মালাক্কা, পেনাং, জহুরবারু প্রদেশের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা গুলোতে শত শত প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।