সরকারি খাল উদ্ধার করে উন্মুক্ত করায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক সহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মোঃজাহাঙ্গীর হোসেন
রাঙ্গাবালী পটুয়াখালী প্রতিনিধী।
পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজইউনিয়ানে
গত রোববার (১৮ জুন) সবুজ খলিফা নামের দখলদার সিন্ডিকেট চক্রের একজন বাদী হয়ে পটুয়াখালী দ্রুত বিচার আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। এতে আসামী করা হয় রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাক্তার জহির উদ্দিন আহমেদ, চরমোন্তাজ ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বেল্লাল খাঁন এবং রাঙ্গাবালী প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও বাংলা টিভির প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সহ এলাকার ২৭ জনকে।
তবে হয়রানি মূলক এ মামলা দায়েরের পরপরই ফুঁসে ওঠে এলাকাবাসী। বুধবার দুপুরে রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ স্লুইস বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন হাজারো মানুষ।
এসময় বক্তারা বলেন, সবুজ খলিফা ও শহিদ খন্দকার সহ কয়েকজন দখলদার মিলে গত যুগ ধরে কাশেম খার দৌড় নামের সরকারি খালটি দখল করে মাছ চাষ করে আসছিলো। যার কারণে স্থানীয় জেলেরা মাছ শিকার করতে পারছিল না। শত শত জেলে বেকার হয়ে পরেছিল। পরে চলতি বছরে খাল দখলমুক্ত করার দাবীতে এলাকাবাসী মিলে উপজেলা পরিষদে একটি লিখত অভিযোগ দেন। অভিযোগটি আমালে নিয়ে খাল উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা পরিষদ। এরপর গত ৮ জুন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা.জহির উদ্দিন আহমেদ খাল উদ্ধার করে সকলকে মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করেন। সেই সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশও হয়েছিলো। এরপর থেকে এলাকার জেলেরা খালে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
কিন্তু এরমধ্যেই দখলদার খালটি পুনরায় দখলে নিতে তৎপরতা শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সাংবাদিকের নামে হয়রানি মূলক মামলা দিয়েছে। অবিলম্বে হয়রানি মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান এলাকাবাসী।
এব্যাপারে রাঙ্গাবালী উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. জহির উদ্দিন আহমেদ জানান, উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্তের আলোকে আমরা দীর্ঘদিনের দখলকৃত খাল উন্মুক্ত ঘোষণা করি। একারণে দললদাররা আমাকে প্রধান আসামী করে ইউপি সদস্য ও সাংবাদিক সহ ২৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। আসলে এটা তো আমাদের ব্যক্তিগত কাজ না। এটা সরকারি কাজ ছিল। সরকারি কাজ করতে গিয়ে মামলা যেহেতু হয়েছে, সেহেতু উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্তের আলোকে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নিবে।