সাতক্ষীরার তালার মাঠে মাঠে কুলবাগানে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন
মোঃ হাফিজ জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরাঃ
সাতক্ষীরার তালার মাঠে মাঠে কুলবাগানে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। এবার কাক্সিক্ষত কুল চাষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কুল চাষ এ অঞ্চলের কৃষকের লাভজনক ফসলের মধ্যে একটি। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবছরও কৃষক কুল চাষে লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, পাটকেলঘাটাসহ উপজেলার অধিকাংশ মাঠের জমিগুলোতে কুল চাষ করা হয়েছে। গাছগুলোতে বেশ ফলন দেখা যাচ্ছে ভালো। এ অঞ্চলে ৪ জাতের কুল চাষ করা হয়। নারকেল কুল, বলসুন্দরী, আপেল কুলের ভেতর হাইব্রিড থাই কুল জাতের কুল আকারে বেশ বড় হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই কুল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। পাটকেলঘাটার বেশ কয়েকজন কুলচাষী জানায়, এ বছর কুলের ফলন বেশ ভালো দাম ও ভালো। যুগিপুকুরিয়া গ্রামের পলাশ বিশ্বাস জানান, তিনি চলতি বছর ৭ বিঘা জমিতে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ-এর সহযোগিতায় ও উন্নয়ন প্রচেষ্টার সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সহযোগিতায় টক মিষ্টি কুল চাষ করেছেন। উন্নয়ন প্রচেষ্টার কৃষি কর্মকর্তা নয়ন হোসেন জানান, সাতক্ষীরা জেলার মধ্যে সর্ব প্রথম এই বাগানে আগাম টক মিষ্টি জাতের বরই উৎপাদন করা হয়েছে। বাগানে ৪০০টির মতো গাছ আছে। ফল আহরণ শুরু হয়েছে ডিসেম্বর এর ৮ তারিখ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪৫টন বরই ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বরই বিক্রি হয়েছে। অপরদিকে জুজখোলা গ্রামের জামাল উদ্দীন ৩বিঘা জমিতে বলসুন্দরী, আপেল ও থাই কুল চাষ করেছেন। প্রতিটি গাছে ৩/৪ মণের বেশি কুল ধরেছে। ১১০টাকা কেজি দর থেকে বিক্রি করতে শুরু করেছি। বর্তমানে বাজার বেশ ভাল। সামান্য পানি সেচ, আগাছা পরিষ্কার, ডালপালা ছাটাইকরণ সহ অল্প কীটনাশক সার ঔষধ দিলেই এর পরিচর্যা সমাপ্ত হয়। বাজারের বেশ কয়েকজন কীটনাশক সার বিক্রেতা জানান, গত বছরের মত এবারও কুল চাষ একটি লাভজনক ফসল হিসেবে কৃষক তার দাম পাবে বলে আশা রাখছি। তালা উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কল্যান কুমার ঘোষ জানান, কুলচাষ এ অঞ্চলের মানুষের অনেকের ভাগ্যের পরিবর্তন করে দিয়েছে। এবছর কুল চাষ মাঠ জুড়ে বেশ ভালো অবস্থান করে আছে। তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা বেগম জানান এ বছর ৮০৪ হেক্টর জমিতে কুলের চাষ করা হয়েছে। কুলের দাম পাওয়াতে কৃষক কুল চাষে আগ্রহী হচ্ছে।