ঢাকাশুক্রবার , ১ মার্চ ২০২৪
  1. অগ্নিকান্ড
  2. অনুষ্ঠান
  3. অপরাধ
  4. অবৈধ বালু উত্তোলন
  5. অভিনন্দন
  6. অর্থনীতি
  7. আইন ও বিচার
  8. আওয়ামী লীগ
  9. আওয়ামী লীগে
  10. আক্রান্ত
  11. আটক
  12. আত্মহত্যা
  13. আদালত
  14. আনন্দ মিছিল
  15. আন্তর্জাতিক
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ফুড পয়জনিং মারাত্মক রোগ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

Link Copied!

★ফুড পয়জনিং গবাদিপশুর একটি মারাত্মক সমস্যা। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না করলে প্রাণির মৃত্যু আনেক বেশি। সকল ঋতুতেই গরুর এ সমস্যা হতে পারে। গরুর খাদ্য ও খাদ্যাভাস জনিত ত্রুটির কারনেই মুলত এটি হয়ে থাকে।
গরুর ফুড পয়জনিং রোগ হওয়ার কারণ ও সমাধানের উপায়
* গরুর দানাদার খাবার ও ভূসি খাদ্য দ্রুত পোকামাকড়, রোগ জীবানু বা ব্যকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়। তাই গরুর ফুড পয়জনিং রোগ রোধে দানাদার খাবার সর্বদা রোগ জীবাণুমুক্ত ও টাটকা হতে হবে।
** গরুর দানাদার খাবার ও খড় রাখার জায়গা, পাত্র ও গুদাম ঘর পোকামাকড়, ইদুর ও তেলাপোকা মুক্ত হতে হবে। তেলাপোকা আমশয় রোগের জীবাণু বহন করে।
*** খাবারের পাত্র সহ পুরো খামারকে ভালো ভাবে জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। গরুর খামারে জীবানুনাশক ব্যবহার করুন, যেমন- পটাশ, ব্লিচিং পাউডার, কাপড় কাচার সোডা, সাবানের গুড়া ইত্যাদি।
**** গরুর দানাদার খাবারের সাথে লবন, খাবার সোডা বা সোডিয়াম বাই কার্বনেট, টক্সিন বাইন্ডার, মল্ড ইনহিবিটর, ডিসি পি পাউডার, ইত্যাদি ব্যবহার করা উত্তম। এতে মিশ্র ভূসি ও দানাদার খাদ্য জীবাণুমুক্ত থাকবে ও খাবারের গুণগত মানও ভালো থাকবে।
***** কিছু ক্ষতিকর অনুজীব যেমন- আলফা টক্সিন, মোল্ড, ফাংগাস ও লিস্টেরিরার মত ভয়ংকর জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে গরুর পাতলা পায়খানা ও ফিড পয়জনিং হয়ে থাকে। তাই এধরনের বিশাক্ত খাদ্য থেকে গরুকে রক্ষা করুন। গর্ভবতী গাভী এসব জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হলে যে কোন সময় গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। খাদ্যের বিষক্রিয়া গাভীর জীবনকে করতে পারে চরম ঝুঁকিপূর্ণ।
****** ফুড পয়জরনিং হলে দ্রুত ব্যাবস্থাপনা গ্রহণ করতে হবে, তা না হলে গরুর পেটফাপা, ডায়রিয়া ইত্যাদি থেকে গরুর ধকল শুরু হলে কোন কিছু বুঝার আগেই গরুটি দূর্বল হয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হবে। এ সময় করনিয় হলো দ্রুত দানাদার খাবার বন্ধ করে গরুকে শুকনো খড়, কাচা ঘাস, চিটাগুড় ও খাবার সোডা খেতে দিতে হবে।
গরুকে এই সময়ে পর্যাপ্ত শীতল সাদা জল দেওয়া উচিত, মনে রাখবেন, শীতল সাদা জল, যাতে কোনও লবণ না থাকে। হতে পারে , গরু ঘন ঘন শ্বাস নিতে / নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে থাকবে। গরু কতটা লবণ গ্রহণ করবে এবং আপনি যদি এটি দেন তবে একটি ঝুঁকি রয়েছে যে এটি তার জন্য কমবেশি হবে।
· এই উত্তাপে গরুটি দিনে কয়েকবার ঠান্ডা জলে স্নান করা উচিত। প্রয়োজনে জল ছিটিয়ে / স্প্রে সাজিয়ে নিতে হবে। আমি আশা করি এটি গরমে প্রচণ্ড গ্রীষ্মের উত্তাপের চাপ কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে।
· গরম আবহাওয়ায় সময় খুব সতর্কতা অবলম্বন করুন, স্বাস্থ্যকর গরুর গোবর পরীক্ষা করুন এবং তাদের সঠিক পরিমাণ এবং সঠিক ওষুধ দিন। , তাই যথাযথ লিভারের টনিক, প্রচুর চিটাগুর, কিছু বেকিং সোডা, প্রোবায়োটিক পাউডার খাওয়া উচিত।
· কীটপতঙ্গের পরে গবাদিপশুগুলিতে কোনও ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে একজন ভাল ( VS)  এর কাছ থেকে আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা পেতে পারেন। নিবন্ধিত পশুচিকিত্সা ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ, ব্যবহার করা উচিত নয়।
গবাদিপশুর ফুড পয়জনিং রোগের চিকিৎসা
গবাদিপশুর ফুড পয়োজনিং হলে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট ইনজেকশন (এসবিনেট) শীরায় প্রয়োগ করতে হবে। গরু দূর্বল হয়ে গেলে পানির সাথে স্যালাইন খাওয়াতে হবে। রুমেনের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য প্রোবায়োটিক ও প্রিবায়োটিক (বায়োগাট, এসিলাক প্লাস, বায়োলাক বোলাস) ঔষধ খাওয়াতে কবে।
গরুর ফুড পয়জনিং রোগের ধরণ
গরুর ফুড পয়জনিং রোগ হওয়ার প্রধান কয়েকটি ধরণ নিম্নে দেওয়া হলো ঃ
· ফুড পয়জনিং-বোটুলিজম (Food Poisoning—Botulism)
· আর্সেনিক পয়জনিং (Arsenic Poisoning)
· লেড বা সিসা পয়োজনিং (Lead Poisoning)
· সল্টপিটার পয়োজনিং (Saltpeter Poisoning)
· মারকারিয়াল পয়োজনিং (Mercurial Poisoning)
· সল্ট পয়জনিং (Salt Poisoning)
· কস্টিক এলকাইলিটি পয়জনিং (Caustic Alkali Poisoning)
· কপার সালফেট পয়জনিং (Copper Sulphate Poisoning)
· কার্বোন টেট্রাক্লোরাইড পয়জনিং (Carbon Tetrachloride Poisoning)
· হাইড্রোসায়ানিক পয়জনিং (Hydrocyanic Acid Poisoning)
· আগাছা দ্বারা পয়জনিং (Poisoning by Weeds).

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।