মোঃ হাফেজ সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় জমি নিয়ে বিভিন্ন কাগজপত্র উপস্থাপন করে ও মুনসুর রহমান জমি পাচ্ছেন না জানান, আপ্তাব উদ্দীন ও তার ভাই আকবর আলীর ওয়ারেশদের তঞ্চকতার আশ্রয় নিয়ে করা জালিয়াতির মাধ্যমে বানোয়াট এসএ খতিয়ান সৃষ্টিতে তৎকালীন পৌর ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা পূর্ণ সহযোগীতা করেন। তিনি বলেন, দলিল করে দেয়ার সময় জমিদাতাগনের বরাতে দলিলে উল্লেখ করা হয়েছে জহির উদ্দীন সরদারের মৃত্যুতে তারা ওয়ারেশসূত্রে উক্ত জমির মালিক। কিন্তু জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরী করা এসএ ৮৮৫ ও ৮২৯ খতিয়ানের কাগজপত্রে জহির উদ্দিন সরদারের কোনো নাম ও জমির অংশ না থাকা এবং দলিলদাতাদের পিতামাতার নাম ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় বিষয়টি উক্ত জমির প্রকৃত মালিক মৃত. দবির উদ্দীন সরদার দিংএর নজরে আসে।
মুনসুর রহমান আরো জানান, জেলা রেকর্ড রুমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে কাটিয়া মৌজার এসএ ৮৮৫ ও ৮২৯ খতিয়ানের সার্টিফাইড উঠাতে তিনি আবেদন করেন। কিন্তু রেকর্ড রুম থেকে ‘এই অফিসের আরওআর জরাজীর্ণ থাকায় কপি সরবরাহ করা গেলনা’ উল্লেখ করে আবেদন প্রত্যাখান করা হয়। অথচ একই রেকর্ড রুমের কথিত জরাজীর্ণ আরওআর থেকে আপ্তাব উদ্দীন ও তার ভাই আকবর আলীর ওয়ারেশদের একই বিষয়ে কাগজপত্র সরবরাহ করা হয়। মুনসুর রহমান তার ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, পৌর ভূমি অফিসের কাটিয়া মৌজার প্রথম রেজিস্ট্রার থেকে এসএ ৮৮৫ ও ৮২৯ খতিয়ানের কাগজপত্র তৈরী করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানকার মূল খতিয়ানের কাগজ দীর্ঘ ৩৮ বছর পূর্বে নষ্ট হলেও তার ছায়ালিপি কোথা থেকে আসলো এটা কারো বোধগম্য নয়।
এ বিষয়ে আপ্তাব উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দলিলমূলে ঐ জমি আমাদের। রেকর্ড দিয়ে কি হবে? আমার জমির কোনো রেকর্ড দরকার নেই। আপনারা যা পারেন তাই করেন। সাতক্ষীরা সদর সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তার কাছে জানার জন্য অফিসে গেলে তিনি কাজের জন্য বাইরে থাকায় তার ব্যবহৃত সেলফোনে একাধিকবার কল করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
মুনসুর রহমান উক্ত জালিয়াতির প্রতিকার চেয়ে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *