কোরআনে কারীমে কবরের আযাবের বর্ণনা★
হাফেজ মোঃ আসলাম -স্টাফ রিপোর্টার :
কোরআনে কারীমের বহু জায়গায় বরযখের আযাব ও পুরস্কার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহ্ তা’আলা এরশাদ করেছেন:
وَلَوْ تَرَى إِذِ الظَّالِمُونَ فِي غَمَرَاتِ الْمَوْتِ وَالْمَلَائِكَةُ بَاسِطُوا أَيْدِيهِمْ أَخْرِجُوا أَنْفُسَكُمُ الْيَوْمَ تُجْزَوْنَ عَذَابَ الْهُوْنِ بِمَا كُنْتُمْ تَقُوْلُوْنَ عَلَى اللَّهِ غَيْرَ الْحَقِّ
وَكُنْتُمْ عَنْ آيَاتِهِ تَسْتَكْبِرُونَ
অর্থাৎ, যদি আপনি সেই সময় দেখেন, যখন যালিমরা মৃত্যু-যন্ত্রণায় (আচ্ছন্ন) থাকবে এবং ফেরেশতারা স্বীয় হস্ত প্রসারিত করে বলবেন, বের কর স্বীয় আত্মা! অদ্য তোমাদেরকে অবমাননাকর শাস্তি প্রদান করা হবে। কারণ, তোমরা আল্লাহর ওপর অসত্য আরোপ করতে এবং তার আয়াতসমূহের ব্যাপারে অহংকার করতে। (আনআম, আয়াত-৯৩)
এ সকল কথা ফেরেশতারা মৃতব্যক্তির মরণ-যন্ত্রণার সময় বলে থাকে এবং ফেরেশতারা সর্বদা সত্য কথা বলে। মৃতব্যক্তির শাস্তি যদি মরণের সাথে সাথে পৃথিবীতেই শেষ হয়ে যায়, তাহলে اليوم تجزون অর্থাৎ “অদ্য তোমাদেরকে শাস্তি প্রদান করা হবে”, একথা অনর্থক ও অযৌক্তিক হয়ে
যায়।
আল্লাহ্ তা’আলা এরশাদ করেন:
فَوَقَاهُ اللهُ سَيِّئَاتِ مَا مَكَرُوا وَحَاقَ بِالِ فِرْعَوْنَ سُوءَ الْعَذَابِ النَّارُ يُعْرَضُونَ
عَلَيْهَا غُدُوًّا وَعَشِيًّا وَيَوْمَ تَقُوْمُ السَّاعَةُ أَدْخِلُوا الَ فِرْعَوْنَ أَشَدَّ الْعَذَابِ. অর্থাৎ, অত:পর তাঁকে চক্রান্তের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করলেন এবং ফিরআউন গোত্রকে শোচনীয় আযাবে গ্রাস করল। সকালে ও সন্ধ্যায় তাদেরকে আগুনের সামনে পেশ
করা হয় এবং যেদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে
সেদিন আদেশ করা হবে, ফিরআউন সম্প্রদায়কে কঠিনতর আযাবে দাখিল কর।
(মু’মিন আয়াত-৪৫-৪৬)