#যে দোয়া’টি কবরের আযাব পিঁপড়ের কামড়ের নেয় সহজ হয়ে যায়#
হাফেজ মোঃ আসলাম,
মৃত্যু বলতে জীবনের সমাপ্তি বুঝায়। অন্য কথায়, মৃত্যু হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যখন সকল শারিরীক কর্মকাণ্ড যেমন শ্বসন, খাদ্য গ্রহণ, পরিচলন, ইত্যাদি থেমে যায়। দুনিয়ার জীবনে পাপাচারে লিপ্ত ব্যক্তিদের যারা তোওবা করবেনা, আল্লাহর রহমত অর্জন করতে ব্যর্থ হবে, তাদের জাহান্নামের শাস্তি কবরের জীবনেই শুরু হয়ে যাবে। এই শাস্তি চলবে কেয়ামত পর্যন্ত, আর জাহান্নামের শাস্তিতো আরো কঠিন ও দীর্ঘস্থায়ী।
এইজন্য রাসুল সাঃ আমাদেরকে বারবার কবরের আযাব থেকে বাঁচার জন্য, আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার জন্য উপদেশ দিয়েছেন। তিনি নিজেও নামাযের ভেতরে ও বাইরে কবরের আযাব থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতেন। কবরের আযাবের ভয়াবহতা চিন্তা করে সাইয়্যিদিনা উসমান ইবনে আফফান (রাঃ) কবরের কথা স্মরণ করলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তেন, এমনকি তাঁর কাপড় ভিজে যেত চোখের পানিতে।
হযরত আজরাঈল (আ) যখন জান কবজ করতে আসবেন, তখন মৃত্যু পূর্ব মুহুর্তে কষ্ট হবেই। তবে মহান আল্লাহ তায়ালার মমিন বান্দারা সেই কষ্টটা কম পেয়ে থাকেন। তবে আল্লাহ পাক বলছেন, আল কোরআনে বর্ণিত ছোট্ট এই দোয়াটি পড়লে মৃত্যু আযাব হালকা হয়ে যাবে। দোয়াটিকে আমরা সবাই আয়তুল করসি বলেই জানি। দোয়াটি নিম্নরূপ:
আয়াতুল কুরসী:আল্লাহু লাইলাহা ইল্লাহুওয়াল হাইয়্যুল ক্বইউম, লাতা’খুযুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা নাওম, লাহু মাফিস্ সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরয। মানযাল্লাযি ইয়া ফাউ ইন্দাহু ইল্লা বিইযনিহ। ইয়ালামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহীতুনা বিশাইয়িম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমাশাআ ওয়াসিয়া কুরসিয্যুহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরযা, ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফযুহুমা ওয়াহুওয়াল আলিয়্যুল আযীম। (সূরা বাকারঃ ২৫৫)