সৌদি সরকার ও আরব আমিরাতের বাইরে এক, ভেতরে আরেক
অনলাইন ডেস্ক :
আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
সম্প্রতি দুবাই শহরের এক দুর্দশা দেখল বিশ্ববাসী। গত ১৬ এপ্রিল ভারী বৃষ্টিতে শহরটির প্রধান সড়ক বড় এক নদীর রূপ নেয়। সেখানকার বিমানবন্দর সড়কটিতে এত পানি জমে যে মনে হয়, সেখানে গাড়ি চলার পরবর্তে জাহাজ চালানো যাবে! এত বৃষ্টি কি প্রাকৃতিকভাবে ঘটল, নাকি কৃত্রিম মেঘ থেকে বৃষ্টি ঝরানো হলো, তা নিয়ে জনমনে সংশয় রয়ে গেছে।
গত মাসে দুবাই শহরে ১৪২ মিলিমিটার (৫ দশমিক ৬ ইঞ্চি) বৃষ্টি হয়। শহরটিতে বার্ষিক যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়, তার চেয়ে একদিনেই দেড় গুণ বেশি বৃষ্টি হয়। এই বৃষ্টিতে বিমানবন্দরের রানওয়ে ডুবে গিয়েছিল। ফলে হাজার হাজার যাত্রীকে বিশ্বের ব্যস্ততম আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দরে আটকা পড়তে হয়। কয়েক দিন ধরে পানি সড়কে থাকায় রাস্তায় গাড়ি চলতে পারেনি। দুবাইয়ের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যান্য শহরের পরিস্থিতিও একই রকম দাঁড়ায়। বাড়ি ফিরতে না পেরে অনেক কর্মী ও ক্রেতাকে শপিং মলের মেঝেতেই ঘুমাতে হয়েছে।
দুবাইয়ের মতো শহর ১০০ বছরে একবার এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে পারে, এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। তবে আশ্চর্যের বিষয় দুবাই শহরটি ঠিকঠাক পরিচ্ছন্ন রাখা হয়। কিন্তু বন্যা পরিস্থিতির পর কী ঘটেছে, তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়নি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) ছয়টি সদস্য দেশে নানা ক্ষেত্রে তথ্য জনসম্মুখে আনা হয়ে থাকে খুব কমই।
প্রতিবেশী দেশগুলোর মতোই সংযুক্ত আরব আমিরাত এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না জানানোর চেষ্টা করে।