স্বাস্থ ডেস্ক – ডায়াবেটিক রোগীদের টানা দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে রক্তে শর্করা কমে যাওয়ার বা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ডায়াবেটিক রোগীরা রোজা রাখলে তাঁদের জন্য সাহ্রি বাধ্যতামূলক। একজন ডায়াবেটিক রোগী সঠিক নিয়মে সঠিক খাবার দিয়ে সাহ্রি করলে, খুব সহজে ওই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবেন। আসুন জেনে নিই কিছু টিপস; যা আপনাকে দীর্ঘ একটি দিনেও রোজা রাখতে সাহায্য করবে।
● অনেক বেশি খাবার খেলে বদহজম, গ্যাসের সমস্যা হওয়া ছাড়াও পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
● অনেকে মনে করেন, সাহ্রিতে পেটপুরে খেলে সারা দিনে ক্ষুধা লাগে না। তাই অনেককে সাহ্রিতে বেশি খেতে দেখা যায়। শেষ সময় পর্যন্ত অনেকে পানি পান করতেই থাকেন। এটি বরং অস্বস্তি তৈরি করবে।
● অন্য সময় দুপুরে বা নৈশভোজে যা খেতেন, সাহ্রিতে সেই স্বাভাবিক খাবারটাই খাবেন। পরিমিত পরিমাণে ভাত অথবা রুটি, সঙ্গে মাছ বা মাংস, ডাল, সবজি, সালাদ। শেষে এক কাপ দুধ বা দই।
● ডায়াবেটিক রোগীরা সাহ্রিতে আতপ চালের ভাত খাবেন না। লাল চালের ভাত খাওয়া ভালো। কারণ, সেদ্ধ মোটা চাল ও লাল চালের গ্লাইসিমিক ইনডেক্স অনেক কম। এতে ফাইবার বেশি, তাই ধীরে শোষিত হয়। তাই সারা দিন ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করবে। ভাতের বদলে লাল আটার রুটিও খেতে পারেন।
● সাহ্রির শেষ সময়ের ১০-১৫ মিনিট আগে খাওয়া শেষ করতে হবে। অনেকের স্বভাব, মাঝরাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া। ডায়াবেটিক রোগীরা তা কখনো করবেন না।
● সবজির পাশাপাশি কিছু শাক অবশ্যই খাবেন। শাকের সেলুলুজ আপনাকে সারা দিনে পেট ভরে থাকার মতো অনুভূতি দেবে। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে।
● বিরিয়ানি–পোলাও বা খিচুড়ির মতো খাবার খাবেন না। এগুলো পানির চাহিদা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।
● প্রোটিন হিসেবে মাংসের বদলে মাছ খান অথবা ঘন ডাল রাখুন।
● অনেকে ওজন কমাতে কিছু না খেয়েই রোজা রাখেন। এটা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
● চাইলে একটা খোসাসহ ফল খেতে পারেন।
● সন্ধ্যা থেকে সাহ্রি পর্যন্ত দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করবেন। সাহ্রিতে চা–কফি পান করলে ডিহাইড্রেশন বাড়বে।
সাহ্রিতে কোনো কিছুই বেশি খাবেন না। চাহিদার বেশি খাবার খেলেই বিপত্তি ঘটবে। শরীর প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে বাকিটা ফ্যাট হিসেবে আপনার শরীরে জমা করে রাখবে। ফলে ওজন বেড়ে যাবে।