সুস্থ থাকতে পুরুষদের এবং মহিলাদের ব্যায়ামের বিকল্প নেই
[আব্দুল্লাহ আল রাকিব,জবি:]
বেশিরভাগ মহিলাই কিংবা আমাদের কাছের মানুষগন সংসারে বাচ্চা -কাচ্চা লালন-পালন,কর্মজীবন, সামাজিক দায়িত্ব-কর্তব্য এসব কারনে নিজেদের শারীরিক যত্ন নেওয়ার বিশেষ সময় পান না। ফলে একের পর এক মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা লেগেই থাকে। উল্লেখ্য কিছু ব্যাসিক জিনিস মনে রাখা মহিলাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।এদিকে পুরুষরা তাদের জব অথবা বিজনেসের কারনে তারা তাদের নিজেকে টাইম দিতে হিমশিম খেয়ে যান। কিন্তু একটু মাথা খাটিয়ে চিন্তা করলে অবশ্যই ব্যায়াম করার সময় বের করা যায়। কথায় আছেনা” সুস্থ দেহে সুন্দর মন” এই প্রবাদটি ওতপ্রোতভাবে আমাদের জীবনের সাথে জড়িত। সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য মহিলারা কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন এগুলোর কিছু টিপস দেয়া হলো। :ব্যায়াম কিংবা যোগব্যায়াম -প্রতিদিন নিয়ম করে রেগুলার হাটাহাটি কিংবা শরীরচর্চা করুন।চাইলে আপনি যোগব্যায়াম ও করতে পারেন।সেখানে আপনার উন্নতি & অবনতির প্রগ্রেস নিতেই মাপতে পারবেন। – যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, দিনের কিছুটা সময় রাখুন শরীরচর্চায় বা ব্যায়ামের জন্য রাখা উচিত।-একজন মহিলার সুস্থ থাকার সবচেয়ে কার্যকর উপায় ব্যায়াম। বিশেষত, সকালে পাশাপাশি রাতে খাবারের পর স্পেশালি ঘুমানোর যাওয়ার আগে শরীরচর্চা করলে বেশি উপকার মিলবে। শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিট থাকলেই আপনার আয়ু বৃদ্ধি করা যায়। তাছাড়া, প্রতিদিন ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ক্যান্সার, আরও অনেক রোগের ঝুঁকি কমায়। যখন ব্যায়াম করা হয়, তখন হ্যাপি হরমোন নিঃসৃত হয়। এটি স্ট্রেস বা চাপ বোস্টার হিসেবে কাজ করে অবসাদ এবং উদ্বেগ কমায়।প্রসঙ্গত, দ্রুত ওজন কমাতে ব্যায়ামের চেয়ে কার্যকর পদ্ধতি নেই বললেই চলে! :স্বাস্থ্যকর ডায়েট আমাদের শরীরের এনার্জি উৎস খাবার থেকেই পাই।প্রতিদিনের ডায়েটে ফাইবার, আয়রন, খনিজ, প্রোটিন, ফলিক অ্যাসিড এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন। এগুলি একজন মহিলার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান বলে মনে করা হয়। বাইরের খাবার মুলত জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত লবণ ও মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। আর যাদের ল্যাকটোজ এলার্জি কছে তারা দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। :হার্টের যত্ন শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হার্ট। তাই হার্টের সঠিক যত্ন নেওয়া এবং নিয়মিত পরীক্ষা করা বিশেষ প্রয়োজন। রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা, বডি মাস ইনডেক্স(BMI)এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে :কোলেস্টেরল পরীক্ষা মাত্রাধিক কোলেস্টেরল রক্তনালীগুলি বন্ধ করে দিতে পারে। ফলে গুরুতর শারীরিক সমস্যা তথা স্ট্রোকও হতে পারে । তাই কম চর্বি, কম কোলেস্টেরলযুক্ত খাদ্য খান।অবশ্যই ধূমপান এড়িয়ে চলুন এবং প্রতিদিন ব্যায়ামের অভ্যাস করতে হবে। :ধুমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন। সার্ভিকাল এবং ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের চেয়ে ফুসফুসের ক্যান্সারে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি। এ ছাড়াও গবেষণায় আছে, যে সব মহিলারা ধূমপান করেন তাঁরা খুব কম বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। :ইউটিআই সংক্রমণ মূত্রনালীর সংক্রমণ (Urinary tract infections) সব বয়সের মেয়েদের মধ্যেই হতে পারে। এই সমস্যা দেখা দিলেই দ্রুত চেক আপ করানো উচিত। সঠিক মেডিসিন এবং প্রচুর পরিমাণে তরল গ্রহণ এই সমস্যা দ্রুত আরোগ্য করতে পারে। :থাইরয়েড পরীক্ষা: হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণে পিরিয়ডের সমস্যা, ওজন, ত্বকে লোম এবং গর্ভধারণের সমস্যা হতে পারে। তাই নির্দিস্ট সময় অন্তর প্রত্যেক মহিলারই থাইরয়েড টেস্ট করানো উচিত। :নিয়মিত চেকআপ জরুরি আজকাল কম-বেশি সব মহিলাই ঋতুস্রাবের সমস্যায় ভোগেন। অনিয়মিত ও যন্ত্রণাদায়ক পিরিয়ড, Premenstrual syndrome, পলিসিস্টিক ওভারি, গর্ভধারণে সমস্যা, অপরিকল্পিত গর্ভধারণ, গর্ভপাত, ইত্যাদি। নির্দিষট সময় অন্তর বিশেষজ্ঞ গাইনোকোলজিক্যাল ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।