ঢাকারবিবার , ৩১ মার্চ ২০২৪
  1. অগ্নিকান্ড
  2. অনুষ্ঠান
  3. অপরাধ
  4. অবৈধ বালু উত্তোলন
  5. অভিনন্দন
  6. অর্থনীতি
  7. আইন ও বিচার
  8. আওয়ামী লীগ
  9. আওয়ামী লীগে
  10. আক্রান্ত
  11. আটক
  12. আত্মহত্যা
  13. আদালত
  14. আনন্দ মিছিল
  15. আন্তর্জাতিক
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কয়রায় পতিত জমিতে বিনাচাষে রসুন উৎপাদনে কৃষকের মুখে হাসি

admin
মার্চ ৩১, ২০২৪ ৫:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এফ, এম, এ রাজ্জাক,পাইকগাছা (খুলনা) –কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বিনা চাষে আলু, রসুন, সূয্য মুখী ও ভুট্টার চাষ হয়েছে এবং এর ব্যপক ফলন হওয়ায় কৃষক এর মুখে হাসি ফুটেছে। একসময় সুন্দরবম ঘেসা কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ছিল লবন পানি পূণ। আর লবন পানি শুকিয়ে গেলে মাটের পর মাঠ দেখা যেত বিরাণ ভুমি। সেই বিরাণ ভূমির ভিতরে জেগে আছে বিনা চাষে আলু, রসুন, সূর্য মুখী ভুট্টার গাছ। এই জমিতে আগে কখনো কোন চাষাবাদ হতোনা। কারণ জমিতে জো আসে মধ্য জানুয়ারিতে তখন কোন ফসল লাগানো যায় না। এজন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সরেজমিন গবেষণা বিভাগ দৌলতপুর খুলনার উদ্যোগে এসিআইএআর প্রকল্পের মাধ্যমে বীজ, সার, কীটনাশক দিয়ে ডিসেম্বর মাসের ১ম সপ্তাহে বিনাচাষে ফসল গুলো লাগানোর উদ্যোগ নেয়। এখন মাঠটি পুরাপুরি সবুজ। ঐ গ্রামের কৃষক আলাউদ্দীনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তার জমি খালি পড়ে থাকত। সেই জমিতে তিনি বিনাচাষে আলু, রসুন, সূর্য মুখি চাষ করেছে। সে এক বিঘা জমিতে প্রায় ২৫/৩০ মন রসুন পাবে বলে আশা করছে। যার আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। তার মতে অন্যকোন ফসল চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব নয়। তার দাবি সে যেন আগামী বছর সে যেন আরও বেশি বেশি সহযোগিতা পেতে পারে। তার খেত দেখতে আসে প্রতিদিন অনেক কৃষক। তারাও আগামীতে এ ধরনের চাষাবাদ করবে বলে জানিয়েছে। বতুল বাজার গ্রামের কৃষক আল মামুন সানা বলেন, তার গ্রামের অধিকাংশ বিল পতিত অবস্থায় পড়ে থাকতো। এখন সেই বিলে ১২ বিঘা জমিতে স্থানীয় কৃষকরা ফসল চাষ করে সফল হয়েছি। সেই সাথে কৃষি গবেষণার কাছে
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তাদের সহযোগিতায় এটা করা সম্ভব হয়েছে। আগামী বছর আরও বেশি আলু, রসুনের বীজ যেন পাই সেই দাবী জানাই। সরেজমিন কৃষি বিভাগের বৈজ্ঞানিক সহকারী মোঃ জাহিদ হাসান বলেন এ বছর আমরা বিনাচাষে আলু, রসুন ও ডিবলিং পদ্ধতীতে সূর্যমুখী ও ভুট্টা চাষ করতে কৃষকদের উৎসাহিত করেছি। এর ভিতর আলু, রসুন ও সূর্য মুখী বেশি ভাল হয়েছে। কৃষকদের রোপন করা থেকে শুরু করে সার্বক্ষনিক সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আশাকরি তারা ভালই লাভবান হবে। সরেজমিন গবেষণা বিভাগ খুলনার উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন দক্ষিণাঞ্চলে জমিতে জো আসে দেরিতে। এজন্য হাজার হাজার বিঘা জমি পতিত হয়ে পড়ে থাকে। সে জন্য আমরা বিনা চাষে ফসল গুলো উৎপাদন করার জন্য এই এলাকা বেছে নিয়েছি। এতে করে আমরা সফলতা অর্জন করতে পেরেছি। সরেজমিন গবেষণা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ হারুনর রশিদ বলেন, আমরা বিনা চাষে আলু, রসুন, সূর্যমুখী, ভুট্টা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছি। দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জমি পতিত হয়ে পড়ে থাকে। সেই পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনতে সরেজমিনে গবেষণা বিভাগ গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ও অব্যহত রেখেছে। এ বছর কয়রার একজন কৃষক রসুন চাষ করে দেড় লক্ষ টাকা ইনকাম করেছে। এটাই আমার বড় পাওয়া। এ ধরনের ফসল উৎপাদন করতে আগামীতে এই অঞ্চলের কৃষকদেরকে আরও সহযোগিতা করা হবে

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।