ঢাকাসোমবার , ১ এপ্রিল ২০২৪
  1. অগ্নিকান্ড
  2. অনুষ্ঠান
  3. অপরাধ
  4. অবৈধ বালু উত্তোলন
  5. অভিনন্দন
  6. অর্থনীতি
  7. আইন ও বিচার
  8. আওয়ামী লীগ
  9. আওয়ামী লীগে
  10. আক্রান্ত
  11. আটক
  12. আত্মহত্যা
  13. আদালত
  14. আনন্দ মিছিল
  15. আন্তর্জাতিক
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জমজমাট রায়পুরের ঈদের মার্কেট

admin
এপ্রিল ১, ২০২৪ ৪:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আশরাফুল আলম জীবন রায়পুর লক্ষীপুর:লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলার পৌর শহরের দোকানিরা নতুন পোশাকে সাজিয়ে তুলছেন দোকানসহ শপিংমল। সেজন্যই উপজেলার পৌর এলাকাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন সহ ফরিদগঞ্জ আলোনিয়া থেকে ঈদের জামা কাপড় কিনতে পৌর শহরে কাপড়ের দোকানে আসছেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। চৈত্র মাসের তাপদাহ উপেক্ষা করে ক্রেতাদের আগমনে এখন স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ভিড়। মধ্যবিত্ত ও নিন্মমধ্য শ্রেণির ক্রেতারা কেনাকাটা করছেন বেশী। উপজেলা জুড়ে এখনই ছড়িয়ে পড়েছে যেন ঈদ আনন্দ। জমজমাট বেচাকেনায় এবারের ঈদে খুশি ব্যবসায়ীরাও।
রায়পুর পৌর শহরের গাজী সুপার মার্কেট, হায়দর কমপ্লেক্স মিয়াজি মার্কেট, একতা শপিং মল ঘুরে দেখা যায়, মার্কেট শপিং মল গুলোতে অন্যান্য বছরে তুলনায় ঈদের কালেকশন তুলনামূলকভাবে ভাল হলেও দাম আকাশ ছোঁয়া। উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের পছন্দ ও প্রয়োজনীয় মালামাল কিনে নিয়ে যান নিজ নিজ এলাকায়। শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস, ওড়না, বোরকা, গজ কাপড়, জুতা, কসমেটিক্স সহ কোনো কিছুরই কমতি নেই দোকানগুলোতে। এবার বাচ্চাদের ও নারীদের পোশাকে বিভিন্ন রকম ডিজাইনে বৈচিত্র এসেছে বেশ।
উপজেলার পৌর শহরের শাড়ির দোকান ও থ্রি-পিচের দোকানসহ প্রতিটি মার্কেট ও ফুটপাতগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ বিক্রেতারা নানা অজুহাত দিয়ে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। পৌর শহরের মেইন রোডসহ গাজী সুপার মার্কেট, হায়দর কমপ্লেক্স মিয়াজি মার্কেট, একতা শপিং মল, হায়দরগঞ্জ বাজারের কয়েকটি মার্কেট ও ফুটপাত ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের পদচারনায় মুখরিত দোকানগুলো। প্রতিটি মার্কেটের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তাছাড়া বিভিন্ন শপিংমলে চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে ঈদের পোশাক। এমদাদ মিয়াাজি রোড বাটা, এপেক্স, আফজাল-সু, লোটো সহ জুতোর শোরুম গুলোতেও উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতাদের অধিকাংশই নিন্ম ও নিন্ম মধ্য বিত্তশ্রেণীর।
ঈদ উৎসবের জন্য কেনাকাটা করতে আসা অনেক ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে অভিমত ব্যক্ত করে ক্রেতারা বলেন, এবারের ঈদের কালেকশন তুলনা মূলকভাবে ভাল হলেও দাম আকাশ ছোয়া। মার্কেট গুলোতে কাপড়ের পোশাকের দাম নেওয়া হচ্ছে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। পাঞ্জাবির দোকানগুলোতে এবার চড়া দামে বেচাকেনা হচ্ছে। গত বছর যে পাঞ্জাবি ১ হাজার টাকা ছিল এবার তা দেড় হাজার টাকায় ক্রেতারা কিনতে হচ্ছে । তাছাড়া শার্ট, প্যান্ট, মেয়েদের পোশাক ও শিশুদের পোশাকে দাম হাকানো হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা করে বেশি। সদর রোড এলাকায় গড়ে ওঠা অত্যাধুনিক মার্কেটগুলোকে চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে কাপড়, শাড়ি,থ্রি পিস, জুতা, স্যান্ডেল থেকে শুরু করে ঈদে ব্যবহৃত পণ্যসামগ্রী। তবে শাড়ি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন কাঞ্চি বরণ শাড়ির এই বছর ঈদে ব্যাপক চাহিদা।
হায়দর কমপ্লেক্সের জননী বস্ত্রালয়ের স্বত্ত্বাধিকারি সুশিল সাহা ও ভূইয়া গার্মেন্টের মালিক মো: হেলাল উদ্দিন জানান, এই বছর বিক্রি ভালো। ক্রেতাদের চাপ অনেক বেশি। তবে দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের সাথে আমাদের বেশি কথা বলতে হয়। কারণ আমরা ঢাকা থেকে পাইকারদের কাছ থেকে গত বছরগুলোর তুলনায় এই বছর অনেক বেশি দামে কাপড় ক্রয় করতে হয়েছে। আর এখন আমরা বিক্রি করতে গেলেও একটু বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়।
ক্রেতারা বলেন, গত বছর দেখেছি উচ্চ বিত্তেরই যেন ঈদ। এবছরই গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্য ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে। নিন্ম এবং মধ্য নিন্মবিত্ত শ্রেণির মানুষ দেদারছে কেনাকাটা করছেন। তবে বাজারের চড়া দামের কারণে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান খান জানান, ঈদ মার্কেট ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা দিচ্ছে। কোন মার্কেট বা শপিংমলে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রয় করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমাদের মোবাইল কোর্ট টিম চালু রয়েছে। যদি কোন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।