ঢাকাশুক্রবার , ৫ এপ্রিল ২০২৪
  1. অগ্নিকান্ড
  2. অনুষ্ঠান
  3. অপরাধ
  4. অবৈধ বালু উত্তোলন
  5. অভিনন্দন
  6. অভিযোগ
  7. অর্থনীতি
  8. আইন ও বিচার
  9. আওয়ামী লীগ
  10. আওয়ামী লীগে
  11. আক্রান্ত
  12. আটক
  13. আত্মহত্যা
  14. আদালত
  15. আনন্দ মিছিল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

★আজকে নাজাতের পঞ্চম দিন ★

admin
এপ্রিল ৫, ২০২৪ ১২:৫২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

হাফেজ মোহাম্মদ আসলাম _আজ না পাওয়ার বেদনায় মুমিন কাঁদবে। রহমত, মাগফিরাত, নাজাতের প্রত্যাশাপ্রাপ্তির হিসাব কষবে। নাজাতের পঞ্চম দিনের অতিরিক্ত মর্যাদা আজ পবিত্র জুমাতুল বিদা। রোজার মাসের সর্বশেষ জুমা। জুমাতুল বিদা বিশেষ মর্যাদা পাওয়ার প্রধানতম দুটি কারণ রয়েছে।

ক. অন্য এগারো মাসের তুলনায় রোজার মাসের মর্যাদা- আবু হুরায়রা সূত্রে বর্ণিত রাসুল সা. বলেছেন, রোজার প্রতি মুহূর্তের প্রতিটি আমলের সওয়াব দশগুণ থেকে সাতাশগুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। [বুখারি]

খ. সপ্তাহের অন্য দিনগুলোর তুলনায় জুমার দিনের শ্রেষ্ঠত্ব- আবু হুরায়রা ★হযরত উবাদা ইবনে সামেত (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রমযান মাসের নিকটবর্তী সময়ে একদিন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন যে, রমযানের মাস আসিয়া গিয়াছে। যাহা অতি বরকতের মাস। এই মাসে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেন, বিশেষ রহমত নাযিল করেন, গোনাহ মাফ করেন এবং দোয়া কবুল করেন। তোমাদের তানাফুসকে (অর্থাৎ পরস্পর প্রতিযোগিতা) দেখেন এবং ফেরেশতাদের সহিত গর্ব করেন। অতএব তোমরা আল্লাহকে তোমাদের নেক কাজ দেখাও। ঐ ব্যক্তি বড়ই হতভাগা যে এইমাসেও আল্লাহর রহমত হইতে মাহরুম ও বঞ্চিত থাকিয়া যাইবে। (তারগীবঃ তাবারানী)

★’তানাফুস’ শব্দের অর্থ প্রতিযোগিতা, অর্থাৎ অন্যের তুলনায় বেশী করার আগ্রহ লইয়া কাজ করা। যাহারা গর্ব ও প্রতিযোগিতা করিতে চায় তাহারা এই ক্ষেত্রে তাহাদের কৃতিত্ব দেখাক। আমি গর্বস্বরূপ নহে বরং নেয়ামতের প্রকাশ ও শোকরিয়া স্বরূপ বলিতেছি, নিজের অযোগ্যতার কারণে যদিও কিছু করিতে পারি না কিন্তু আমার ঘরের মহিলাদের অবস্থা দেখিয়া আনন্দিত হই যে, তাহাদের অধিকাংশই তেলাওয়াতের ব্যাপারে একে অপরের তুলনায় আগে বাড়িয়া যাওয়ার চেষ্টা করিতে থাকে। ঘরের কাজকর্ম সত্ত্বেও দৈনিক ১৫/২০ পারা সহজে পড়িয়া নেয়।★আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, রমযান মাসের প্রতি দিবারাত্রে আল্লাহ তায়ালার দরবার হইতে (জাহান্নামের) কয়েদীদের মুক্তি দেওয়া হয় এবং প্রতি দিবারাত্রে প্রত্যেক মুসলমানের একটি দোয়া অবশ্যই কবুল করা হয়। (তারগীবঃ বায্যার)

ফায়দা: বহু হাদীসে রোযাদারের দোয়া কবুল হওয়ার কথা বর্ণিত হইয়াছে। এক হাদীসে আছে, ইফতারের সময় দোয়া কবুল হয়। কিন্তু আমরা ঐ সময় এইভাবে খাওয়ার পিছনে পড়ি যে, অন্য দোয়া করার সুযোগ তো দূরের কথা খোদ ইফতারের দোয়াই মনে থাকে না। ইফতারের প্রসিদ্ধ দোয়া এই-

اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যই রোযা রাখিয়াছি, আপনার প্রতিই ঈমান আনিয়াছি, আপনার উপরই ভরসা করিয়াছি এবং আপনার

রিষিক দ্বারাই ইফতার করিতেছি। হাদীসের কিতাবসমূহে এই দোয়াটি সংক্ষিপ্তভাবেই পাওয়া যায়।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আ’স (রাযিঃ) ইফতারের সময় এই দোয়া পড়িতেন-

اللهم إني أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِي وَسِعَتْ كُلِّ شَيْل أَن تَغْفِرَ لِي.

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে স্বীয় গোনাহমাফীর দরখাস্ত করিতেছি, আপনার ঐ রহমতের ওসীলায় যাহা প্রত্যেক বস্তুকে বেষ্টন করিয়া আছে।
ফাযায়েলে রমযান

يَا وَاسِعَ الْفَضْلِ اغْفِرُ لِي

অর্থঃ হে সুপ্রশস্ত অনুগ্রহের মালিক! আমাকে মাফ করুন।

আরো অন্যান্য দোয়াও বিভিন্ন রেওয়ায়াতে বর্ণিত হইয়াছে। তবে বিশেষ কোন দোয়াই পড়িতে হইবে এমন নহে। ইহা দোয়া কবুল হওয়ার সময়। অতএব আপন প্রয়োজন অনুসারে দোয়া করিবেন। আর স্মরণ হইলে এই গোনাহগারকেও দোয়ায় শরীক করিয়া লইবেন, কেননা আমি একজন সওয়ালকারী। আর সওয়ালকারীর হক রহিয়াছে। (কবির ভাষায়

لطف ہو آپ کا اور کام ہمارا ہو جاتے

چشمہ فیض سے گر ایک اشارا ہو جاتے

অথঃ আপনার দয়ার ভাণ্ডার হইতে যদি একটু ইশারা হইয়া যায় তবে আমি দয়াপ্রাপ্ত হইব। আপনার একটু মেহেরবানী হইল আর আমার কাজ হইয়া গেল।
كذا في الترغيب

★হুযুর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমাইয়াছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ফেরৎ দেওয়া হয় না। এক, ইফতারের সময় রোযাদারের দোয়া। দুই, ন্যায়বিচারক বাদশাহের দোয়া। তিন, মাজলুম ব্যক্তির দোয়া; আল্লাহ তায়ালা তাহার দোয়া মেঘের উপর উঠাইয়া লন। আসমানের সকল দরজা উহার জন্য খুলিয়া দেওয়া হয় এবং আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, আমার ইয্যতের কসম! আমি অবশ্যই তোমার সাহায্য করিব। যদিও (কোন মঙ্গলের কারণে) কিছুটা বিলম্ব ঘটে।

★ ‘দুররে মানসূর’ কিতাবে হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত হইয়াছে যে, রমযান মাস আসিলে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবস্থা বদলাইয়া যাইত। তাঁহার নামাযের পরিমাণ বাড়িয়া যাইত এবং দোয়ার মধ্যে খুবই কাকুতি-মিনতি করিতেন। আল্লাহর ভয় ও ভীতি বৃদ্ধি পাইয়া যাইত। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) অন্য এক রেওয়ায়াতে বলেন, রমযান মাস শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি বিছানায় আসিতেন না।

এক হাদীসে আছে, আল্লাহ পাক রমযান মাসে আরশ বহনকারী ফেরেশতাদেরকে হুকুম করেন যে, তোমরা নিজ নিজ এবাদত-বন্দেগী ছাড়িয়া রোযাদারদের দোয়ার সাথে সাথে আমীন বলিতে থাক। বহু হাদীস দ্বারা রমযানের দোয়া বিশেষভাবে কবুল হওয়ার কথা জানা যায়। আর ইহা নিশ্চিত কথা যে, রমযানে দোয়া কবুল করার ব্যাপারে যখন আল্লাহ তায়ালার ওয়াদা রহিয়াছে এবং তাঁহার সত্য রাসূল উহা বর্ণনা করিয়াছেন, তখন এই ওয়াদা পূরণ হইবার ব্যাপারে কোনই সন্দেহ থাকিতে পারে না। কিন্তু এতদসত্ত্বেও দেখা যায় যে, কেহ কোন উদ্দেশ্য নিয়া দোয়া করিয়া থাকে অথচ তাহার দোয়ায় কোন কাজ হয় না। ইহার দ্বারা এইরূপ মনে করা উচিত নয় যে, তাহার দোয়া কবুল হয় নাই। বরং দোয়া কবুল হওয়ার অর্থ বুঝিয়া লওয়া দরকার।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যখন কোন মুসলমান আত্মীয়তার সম্পর্কচ্ছেদ বা কোন পাপকাজ ব্যতীত কোন দোয়া করে, তখন সে আল্লাহ তায়ালার নিকট হইতে তিনটি বিষয়ের কোন একটি অবশ্যই পাইয়া থাকে। হয়তো সে যে বিষয়ে দোয়া করিয়াছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

Design & Developed by BD IT HOST