ঢাকাসোমবার , ৪ মার্চ ২০২৪
  1. অগ্নিকান্ড
  2. অনুষ্ঠান
  3. অপরাধ
  4. অবৈধ বালু উত্তোলন
  5. অভিনন্দন
  6. অর্থনীতি
  7. আইন ও বিচার
  8. আওয়ামী লীগ
  9. আওয়ামী লীগে
  10. আক্রান্ত
  11. আটক
  12. আত্মহত্যা
  13. আদালত
  14. আনন্দ মিছিল
  15. আন্তর্জাতিক
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরইতলা-মোজামনগর আন্তঃজেলা খেয়া পারাপারে চরম দুর্ভোগ; দ্রুত সংস্কারের দাবী

এফ এম এ রাজ্জাক পাইকগাছা, খুলনা
মার্চ ৪, ২০২৪ ৫:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বরইতলা-মোজামনগর আন্তঃজেলা খেয়া পারাপারে চরম দুর্ভোগ; দ্রুত সংস্কারের দাবী
এফ এম এ রাজ্জাক পাইকগাছা, খুলনা
জেলার পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলার সীমান্তবর্তী বরইতলা-মোজামনগর আন্তঃজেলা খেয়া পারাপারে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। জোয়ারের সময় কোন ভাবেই পার হতে পারলেও ভাটার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় পারাপাররত যাত্রীদের। প্রতিবছর সরকার এ ঘাট থেকে অর্ধ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আয় করে থাকেন। দ্রæত সংস্কার করার মাধ্যমে দুই পারের দুই ঘাট দুটি পারাপারের উপযোগী করার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, আন্তঃজেলা খেয়াঘাটের মধ্যে উপজেলার সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ খেয়াঘাট হচ্ছে পাইকগাছার বরইতলা- দাকোপের মোজামনগর খেয়াঘাট। এই ঘাটটি দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলার মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করেছে। বিশাল শিবসা নদীর পশ্চিম পাশে রয়েছে পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের বরইতলা খেয়াঘাট। অপরদিকে পূর্বপাশে রয়েছে দাকোপ উপজেলার মোজামনগর খেয়াঘাট। মোজামনগর খেয়াঘাটের কিছুটা আরসিসি এবং কিছুটা বাঁশের চার রয়েছে।
এদিকে বরইতলা অংশের সম্পূর্ণ ঘাটটি বাঁশের চার দিয়ে তৈরী। শিবসার প্রবল ¯্রােতে প্রতিবছর বাঁশের চার থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ভাটার সময় বাঁশের চার থেকে নৌকা অনেক নীচে থাকায় ওঠানামা করতে চরম ভোগান্তি হয় সাধারণ মানুষকে। চরম ঝুঁকি নিয়ে মটর সাইকেল সহ অন্যান্য যানবাহন পার করতে হয়।
এমনকি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় নারী সহ শিশুদের। পারাপাররত যাত্রী কলেজ ছাত্র নাফিজ বলেন, জোয়ারের সময় খুববেশি সমস্যা না হলেও ভাটার সময় পার হতে গেলে বুক ধড়ফড় করে। সেলিনা বেগম বলেন, একবার পার হলে আর মনে হয় না এ ঘাট পার হবো। এমন ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় বাড়িতে গিয়ে খেয়াঘাটের কথা মনে হলে শরীর শিউরে ওঠে।
ইজারাদার ইসমাইল সানা জানান, ঘাটটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার আবেদন করেছি। কিন্তু সংস্কারের কোন উদ্যোগ নাই। মাঝি সাইফুল্লাহ বলেন, প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে শত শত মানুষ পার হয়। পার হওয়ার সময় তাদের চরম দুর্ভোগ পেতে হয়। আমরা চাই দুরুত্ব দুটি ঘাট সংস্কার করা হয়।
সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী জানান, এ ঘাটটি আন্তঃজেলা হওয়ায় জেলা প্রশাসন থেকে এটি ইজারা দেওয়া হয়। সরকার এখান থেকে প্রতিবছর অর্ধ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করে থাকে। অথচ এ ঘাটের উন্নয়নে কোন বরাদ্দ নাই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় এ জনপ্রতিনিধি জানান।
এ ব্যাপারে দু’একদিনের মধ্যেই খেয়াঘাটের উন্নয়ন কাজ করা হবে বলে আশ^স্ত করেছেন পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন। দুটি ঘাট সংস্কার ও উন্নয়ন করে ভালো ভাবে পারাপারের উপযোগী করা হোক প্রশাসনের কাছে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।