
মোঃ মাহবুবুর রহমান সোহেল, স্টাফ রিপোর্টার
গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে সাংবাদিক মফিজুল ইসলামকে গ্যারেজে আটকে রেখে উলঙ্গ করে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও যুবদল নেতা পরিচয়ধারী রাজীবের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, রাজীবের ইয়াবা সেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে তা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই ঘটনার জের ধরে সাংবাদিক মফিজুল ইসলামকেও টার্গেট করেন রাজীব। “তথ্য দেওয়ার” নামে ডেকে এনে তাকে তিন ঘণ্টা গ্যারেজে আটক রেখে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।
অচেতন অবস্থায় তাকে রাস্তায় ফেলে যাওয়া হলে, সহকর্মীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে কোনাবাড়ী মেট্রো থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে তিনি শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শরীরে গভীর জখম এবং মানসিকভাবে তিনি ভেঙে পড়েছেন।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলা মানেই সত্যের কণ্ঠ রোধ করা। অপরাধী যেই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না।”সাংবাদিক সমাজ প্রশ্ন তুলেছে একজন রাজনৈতিক নেতা কীভাবে প্রকাশ্যে একজন সাংবাদিককে গ্যারেজে আটকিয়ে নির্যাতন করতে পারে? প্রশাসন কেন আগেই ব্যবস্থা নেয়নি? ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সাংবাদিক মহল।