
মোস্তাক আহমেদ (বাবু) রংপুর
সংবাদ পরিবেশনের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপা- তালে তথ্য সংগ্রহের সময়,যুবলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হাম -লার শিকার হন,দৈনিক ঢাকা পত্রিকার সাংবাদিক মো,মাটি মামুন,যে হাসপাতালের তথ্য সংগ্রহে জন্য গিয়েছিলেন,সেই মেডিকেলেই তিতাই নি এখন শয্যাশী অবস্থায় রংপুর মেডি- কেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই)বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে,রমেক হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ড বটতলা এলা- কায়,ওই সাংবাদিক সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন,আহত সাং- বাদিক মাটি মামুন,দৈনিক ঢাকা পত্রিকার রংপুর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
স্থানীয় প্রতক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, রংপুর মহানগরীর ১৯- নং ওয়ার্ড সাগরপাড়ার বাসিন্দা মাহফুজার রহমান,হাসিনা বেগমের ছেলে,জাহিদ হাসান জনি (৩০) জিন্নাতুল ইসলাম জয় (২৫) সহ অজ্ঞাত ৮/১০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মিলে ওই সাংবাদিকের উপর হামলা করে। অভিযুক্ত জনি ও জয় এর দুইভাই রংপুর মহানগরীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী,তাদের নামে রংপু- র মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানাসহ বিভিন্ন থানায় একা- ধিক মামলা রয়েছে। তাদের মাধ্যমে রংপুর মহানগর যুবলী- গের সভাপতি সিরাজুম মনির বাশার ধাপ এলাকায় চাঁদা- বাজি করেন বলে অনেক অভিযোগ আছে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাটি মামুন বলেন,গত ৫আগষ্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও যুবলীগ সন্ত্রাসী বাহিনী এখনো সক্রি- য় ভূমিকায় আছে। ইতিপূর্বে সন্ত্রাসী জনি ও জয়ের অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের ছবিসহ তাদের সন্ত্রাসী কর্ম- কাণ্ড চাঁদাবাজি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়,এজন্য তারা আমাকে সন্দেহ করে এবং হত্যার পরিকল্পনা করে বিষ -য়টি জানার পরে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা ও পরশুরাম থানার ওসি,ডিজিএফআই এনএসআই ও সিটি – এসবি-সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীলদেরকে আমি বার-বার অবগত করেছি। তারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে হয়তো আজকে আমি হামলার শিকার হতাম না।
তিনি আরও বলেন,আজকে আমি এ্যাম্বুলেন্স চালকের সাথে কথা বলছিলাম এ সময় কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি আমার মাথায় রাম দা দিয়ে কোপ মারে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোহার রড দিয়ে মার পিট করে এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়,পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎস ক,(ইএমও) ডাঃ তনায় সাংবাদিকদের বলেন,তাকে আশঙ্কা- জনক অবস্থায় সার্জারি বিভাগের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। কিছু শারীরিক পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে রিপোর্ট আস -লে প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে। এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন,খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে,ফোর্স পাঠোনো হয়,অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে,সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।