Dhaka 8:10 pm, Sunday, 27 July 2025

মধুখালীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডাঃ মাহমুদুল হাসান

  • Reporter Name
  • Update Time : 10:48:23 am, Monday, 21 July 2025
  • 11 Time View

মোঃ রাকিবুল হাসান মিঠু, রিপোর্টার ফরিদপুর

ফরিদপুরের মধুখালীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে সরকারি বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সংগ্রহ করার জন্য সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান।

শনিবার ১৯/০৭/২০২৫ ইং তারিখে  ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার – ক্লিনিক পরিদর্শন করেছেন। স্বাস্থ্যসেবা খাতের মান উন্নয়ন,সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে এ পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

পরিদর্শনের সময় ডাঃ মাহমুদুল হাসান ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর সেবার মান, লাইসেন্স, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, প্যাথলজি ল্যাবের অবস্থা, ওষুধ সংরক্ষণ ও রোগীদের ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি দিক ঘুরে ঘুরে দেখেন। এসময় অননুমোদিত যন্ত্রপাতি ব্যবহার মেয়াদ উত্তীর্ণ লাইসেন্স ও লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশনা দেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সিভিল সার্জন ডাঃ মাহমুদুল হাসান বলেন,মধুখালী উপজেলাতে বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে অনেকগুলো এরমধ্যে মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠান(মালেকা চক্ষু হাসপাতাল, ডঃ আব্দুল কাদের মেমোরিয়াল হাসপাতাল, সালেহা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার)এর কাগজপত্র ঠিক আছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মেয়াদ উত্তীর্ণ ও লাইসেন্সবিহীন আছে। এই সকল প্রতিষ্ঠানকে আমরা আগামী ১৫ দিন সময় নির্ধারণ করে দিয়েছি সকল কাগজপত্র  ঠিক করার জন্য। এ সময়ের মধ্যে কেউ ব্যর্থ হলে পরবর্তী অভিযানে ঐ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সিভিল সার্জন আরো বলেন,জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়ম নীতির মধ্যে থাকতে হবে। নইলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় পরিদর্শন টিমের সাথে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মামুন হাসান,আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ কবির সরদার,এছাড়াও ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সাধারণ জনগণ এই ধরনের পরিদর্শনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,এই উদ্যোগের ফলে বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে শৃঙ্খলা ও সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। সিভিল সার্জনের এই পরিদর্শন কার্যক্রম জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অনিয়ম রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Tag :
সম্পাদক ও প্রকাশক : আবুল হাসান

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

কালিহাতীতে দুই চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে এলেঙ্গায় মানববন্ধন

মধুখালীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডাঃ মাহমুদুল হাসান

Update Time : 10:48:23 am, Monday, 21 July 2025

মোঃ রাকিবুল হাসান মিঠু, রিপোর্টার ফরিদপুর

ফরিদপুরের মধুখালীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে সরকারি বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সংগ্রহ করার জন্য সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান।

শনিবার ১৯/০৭/২০২৫ ইং তারিখে  ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার – ক্লিনিক পরিদর্শন করেছেন। স্বাস্থ্যসেবা খাতের মান উন্নয়ন,সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে এ পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

পরিদর্শনের সময় ডাঃ মাহমুদুল হাসান ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর সেবার মান, লাইসেন্স, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, প্যাথলজি ল্যাবের অবস্থা, ওষুধ সংরক্ষণ ও রোগীদের ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি দিক ঘুরে ঘুরে দেখেন। এসময় অননুমোদিত যন্ত্রপাতি ব্যবহার মেয়াদ উত্তীর্ণ লাইসেন্স ও লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশনা দেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সিভিল সার্জন ডাঃ মাহমুদুল হাসান বলেন,মধুখালী উপজেলাতে বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে অনেকগুলো এরমধ্যে মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠান(মালেকা চক্ষু হাসপাতাল, ডঃ আব্দুল কাদের মেমোরিয়াল হাসপাতাল, সালেহা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার)এর কাগজপত্র ঠিক আছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মেয়াদ উত্তীর্ণ ও লাইসেন্সবিহীন আছে। এই সকল প্রতিষ্ঠানকে আমরা আগামী ১৫ দিন সময় নির্ধারণ করে দিয়েছি সকল কাগজপত্র  ঠিক করার জন্য। এ সময়ের মধ্যে কেউ ব্যর্থ হলে পরবর্তী অভিযানে ঐ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সিভিল সার্জন আরো বলেন,জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়ম নীতির মধ্যে থাকতে হবে। নইলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় পরিদর্শন টিমের সাথে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মামুন হাসান,আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ কবির সরদার,এছাড়াও ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সাধারণ জনগণ এই ধরনের পরিদর্শনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,এই উদ্যোগের ফলে বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে শৃঙ্খলা ও সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। সিভিল সার্জনের এই পরিদর্শন কার্যক্রম জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অনিয়ম রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।