
সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার, স্টাফ রিপোর্টার
চট্টগ্রাম বন্দর ও আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিনের যানজট ও অব্যবস্থাপনার সমাধান এবং জনদুর্ভোগ লাঘবে মঙ্গলবার ( ২২জুলাই) বিকেলে বন্দর–ইপিজেড–পতেঙ্গা সচেতন নাগরিক সমাজ-এর একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও স্মারকলিপি পেশ করেন।
এ সময় প্রতিনিধি দল নগরের বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গা এলাকার নানা সংকট-বিশেষ করে চলমান ভয়াবহ যানজট, অবৈধ পার্কিং, সড়কজুড়ে গাড়ির বিশৃঙ্খল চলাচল, পণ্যবাহী গাড়ির জট এবং সড়ক ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়হীনতার চিত্র তুলে ধরেন।
পাশাপাশি তারা এলাকাবাসীর স্বার্থে একটি দীর্ঘমেয়াদি বাস্তবসম্মত সমাধান পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি জানান। বন্দরের পক্ষ থেকে সমন্বয়ের আশ্বাস,বন্দর চেয়ারম্যান প্রতিনিধি দলের বক্তব্য মনোযোগসহকারে শোনেন এবং বলেন,সচেতন নাগরিক সমাজের এই যৌক্তিক দাবিগুলো আমাদের কর্মপরিকল্পনার সঙ্গে মিল রয়েছে। যানজট নিরসনে আমরা ইতোমধ্যেই কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি এবং সব সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহী। আপনারা যদি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়ের সেতুবন্ধন রচনা করেন, তাহলে বন্দরের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
তিনি আরও আশ্বাস দেন, কনটেইনার হ্যান্ডলিং, টার্মিনাল অপারেশন ও সড়ক প্রবেশ–প্রস্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে নতুন গেট ম্যানেজমেন্ট ও আইটি নির্ভর সিস্টেম চালুর কাজ চলছে। এতে করে যানজট অনেকটাই কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। স্মারকলিপি প্রদান ও মতবিনিময়কালে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন,
বিশিষ্ট ব্যাংকার ও সমাজসেবক নিজাম উদ্দিন মামুন, লায়ন প্রাক্তন জেলা গভর্নর মোস্তাক হোসাইন,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সংগঠক আলহাজ্ব মোঃ আমিন সওদাগর,খ্যাতনামা সিএনএফ ব্যবসায়ী রোকন উদ্দিন মাহমুদ খলিল,একতা সমাজ উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়সল,বিশিষ্ট সংগঠক মোহাম্মদ বাহাদুর, সাংবাদিক ও সমাজসেবক মোঃ ফয়সাল হাসান,অনুসন্ধানী সাংবাদিক মোঃ জাকারিয়া হোসেন প্রতিনিধি দলের নেতৃবৃন্দ বলেন,চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয় সম্পদ, এর চারপাশে যদি যানজটে মানুষের জীবন থেমে থাকে তবে উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়বে। আমরা চাই, সরকারের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করতে। তাই সর্বস্তরের অংশীদারিত্ব ও প্রশাসনের সদিচ্ছাই পারে সমস্যা সমাধান করতে।