
পাইকগাছা, খুলনা প্রতিনিধি
পাইকগাছায় সহকারী কমিশনার ভূমি ইফতেখারুল ইসলাম শামীম এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত জানা যায়, উপজেলার খড়িয়া ঢেমশাখালী মৌজার এসএ ৭৪৯ নং খতিয়ানের ৮৩৮ দাগের ১ একর ১৬ শতক জমি সরকারি ভাবে খড়িয়া গ্রামের মোকছেদ মিস্ত্রি ১৯৭০ সালে খরিদ করেন। এরপর মোকছেদ মিস্ত্রি ঐ জমি নাম জারী করে সরকারি কর খাজনা দিয়ে ভোগ দখলকার থাকা অবস্থায় ১৯৮০ সালে তার পুত্র দেলোয়ার হোসেন বিল্লাল বরাবর রেজিস্টী দানপত্র মূলে হস্তান্তর করেন। দেলোয়ার হোসেন ঐ জমি নিজ নামে নাম পত্তন করে কর খাজনা দিয়ে ভোগ দখলে থেকে জরীপে নিজ নামে রেকর্ড করে ঐ জমিতে মৎস্য লীজ ঘের করছেন।
এদিকে পাইকগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো: ইফতেখারুল ইসলাম শামীম এবং অভিযোগকারী দেলোয়ার হোসেনের প্রতিপক্ষ একই এলাকার আনিচুর রহমান মিস্ত্রি পরস্পর যোগাযোগে অভিযোগকারী দেলোয়ার হোসেন মিস্ত্রিকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য অস্তিত্বহীন ১৫০/৬৭-৬৮ নং ভিপি লীজ কেস এর নথি সৃষ্টি করে স্বত্ব দখল বিহীন আনিছুর রহমান মিস্ত্রির নামে বাংলা ১৩৭৩ থেকে ১৪৩২ সন পযন্ত ৬০ বছরের এককালিন ঐ জমি ডিসিআার প্রদান করেন। যা অনিয়মতান্ত্রীক ও বেআইনী কারবার। সহকারী কমিশনার ভূমির মাধ্যমে আনিচুর রহমান মিস্ত্রি ডিসিআর নিয়ে অভিযোগকারী দেলোয়ার হোসেনের মৎস্য লীজ ঘের বেদখলের হুমকি দেয়। তাই অভিযোগকারী দেলোয়ার মিস্ত্রি পাইকগাছা সিনিয়র সহকারী জজ ও অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যাপন অতিরিক্ত ট্রাইব্যুনাল, মামলা নং ২৬০০/১৩ এর বিচারক মো: কামরুজ্জামান এর আদালতে গতকাল একটি আবেদন করেন।
উক্ত আবেদনটি শুনানির পর আদালত সহকারী কমিশনার ভূমি ও ডিসিআর গ্রহীতা মো: আনিচুর রহমান মিস্ত্রিকে কেন নালিশী সম্পত্তি বাবদ নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়া হবেনা মর্মে ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর আদেশ দেন। এ ব্যাপারে আবেদন কারী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড মো কামরুল ইসলাম ও এ্যাড এফএমএ রাজ্জাক আদেশের বিষয়টি সঠিক বলে জানান এবং আরো জানান যে সহকারী কমিশনার ভূমি ও তার অফিসের অমৃত ও জিহাদ সীমাহীন দূর্ণিতী চালিয়ে যাচ্ছে।