
সানোয়ার হোসেন ছানু, স্টাফ রিপোর্টার
সে এখন ঢাকা নিটোরে মৃ’ত্যু’র সঙ্গে লড়ছে—৬ দিন ধরে অবস্থা আ’শ’ঙ্কা’জ’ন’ক। সাথীর ওপর চলে এসেছে দিনের পর দিন মানসিক চাপ, প্রকাশ্য অপমান, হু’মকি—সহপাঠীদের চোখের সামনেই। অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদের লাগাতার শাসন, অপমান ও ‘অভিভাবক না আনলে টিসি’– এই হু’মকি সাথীকে মানসিকভাবে গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
সে ছিল মেধাবী, ক্রীড়ায় পারদর্শী, কাবাডি টিমের লিডার। সেই সাথী আজ হাসপাতালের বিছানায় জীবন-মৃ’ত্যু’র মাঝপথে।
সাথীর পরিবার বলছে স্কুলে অভিভাবকের নম্বর জমা থাকলেও কোনো ভুলের দায়ে কখনো জানানো হয়নি, বরং দিনের পর দিন মানসিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়েছে তাকে। প্রশ্নগুলো এখন সবার কজন কিশোরী কেন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেবে? শিক্ষক, স্কুল কর্তৃপক্ষ, শিক্ষা-পরিবেশ— কে কতটা দায়ী? স্কুল মানে কি শুধুই শাসনের জায়গা? বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন বলেছে, তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কিন্তু সাথীর জীবন যদি আর ফিরেই না আসে?