
মোঃ শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তিনজন কৌশলী মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের একটি আভিযানিক দল।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—
১। মোঃ জহির আহম্মেদ (৩৭),
২। মোঃ হাবিব (১৯)
৩। মোঃ নাজিম উদ্দিন (৩২)।
ডিবি-গুলশান বিভাগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বুধবার (২৩ জুলাই ২০২৫ খ্রি.) দুপুর আনুমানিক ২টা ৪৫ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ী থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে তাদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।ডিবি সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার থেকে মাদকের বড় চালান এনে ঢাকায় বিক্রি করে আসছিল। মাদক পরিবহনে যেন সাধারণ মানুষের সন্দেহ না হয়, এজন্য তারা ফ্রিজার ভ্যান ব্যবহার করত।
গ্রেফতারকৃতদের হেফাজতে থাকা ফ্রিজার ভ্যানটি ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয়েছে। ভ্যানে লুকানো অবস্থায় পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট। ডিবি কর্মকর্তারা জানান, “চক্রটি অত্যন্ত সুসংগঠিত। এরা সাধারণত রাতের বেলায় চলাচল করে এবং সড়কে পুলিশের নজর এড়াতে পচনশীল পণ্যের পরিবহন ভ্যানের আড়ালে ইয়াবা সরবরাহ করত।”ডিবি-গুলশান বিভাগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, “বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারির অংশ হিসেবে আমরা জানতে পারি—কক্সবাজার থেকে একটি মাদকচক্র ঢাকায় বড় একটি চালান নিয়ে প্রবেশ করছে।
তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনে অবস্থান করছে। এ তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরপরই তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে মাদকসহ তিনজনকে আটক করা হয়।”গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও অন্যান্য ডিভাইস জব্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে মাদকের বড় চক্রটির অন্যান্য সদস্য ও গডফাদারদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে ডিবি।
ডিবি-গুলশান বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা মাদকের শিকড় উপড়ে ফেলতে চাই। শুধু বাহক নয়, এই চক্রের মূল হোতাদেরও আইনের আওতায় আনার কাজ করছি।”রাজধানীর বুকে এত বড় পরিমাণ মাদকদ্রব্য প্রবেশ ও পরিবহনের ঘটনা দেশের আইনশৃঙ্খলার ওপর এক ধরনের চ্যালেঞ্জ। তবে গুলশান ডিবি পুলিশের দ্রুত ও কার্যকর অভিযানে এ চালান আটক হওয়া নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই তৎপরতা আরও জোরদার করে মাদকের ভয়াবহ বিস্তার রোধ করাই এখন সময়ের দাবি।