Dhaka 5:18 pm, Sunday, 27 July 2025

সিরাজগঞ্জে পারপাঁচিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের মতো বিদ্যালয়টি চালাচ্ছেন 

  • Reporter Name
  • Update Time : 01:53:19 pm, Wednesday, 23 July 2025
  • 94 Time View
লিটন হোসেন, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের পারপাঁচিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের মতো করে বিদ্যালয়টি চালাচ্ছেন দিনের পর দিন।
সিরাজগঞ্জ অনুসন্ধানী সাংবাদিক টিমের অনুসন্ধানে উঠে আসে বিদ্যালয়টির প্রকৃত চিত্র। সকাল ৯ টা থেকে বিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকল শিক্ষিকায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন ৯:৩০মি,এবং বিকাল ৪:১০মি,পর্যন্ত খোলা রাখার নিয়ম থাকলেও সকল শিক্ষিকারা ৩:৫০মিনিটে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন,এবং বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার পরেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেননি সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ আলেয়া পারভীন, উল্লেখিত বিষয়গুলো সততা যাচাই করার জন্য বিদ্যালয়টির অস্থায়ী আয়া মোছাঃ হাসি খাতুন কে জিজ্ঞেস করলে তিনি সিরাজগঞ্জ অনুসন্ধানী সাংবাদিক টিম কে জানান, ম্যাডামরা ৯:৩০মিনিটের মধ্যে স্কুলে উপস্থিত হন, এবং ৪:০০টা বাজলে চলে যান কিন্তু আজকে ৩:৫০ মিনিটে চলে গিয়েছেন আর আমাকে ৪:১০ মিনিট পর্যন্ত স্কুলে থাকতে বলেছেন।
এবিষয়ে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ মরিয়ম খাতুন মুঠোফোনে জানান ৯:৩০মিনিট থেকে ক্লাস শুরু তাই আমরা ৯:৩০ মিনিটে স্কুলে যায় এবং বিকেল ৪:০০টা বাজলে স্কুল থেকে চলে আসি। তবে আজকে আমার ছেলে অসুস্থ তাই একটু আগেই বের হয়েছি। ৩ জন শিক্ষিকা ছুটিতে থাকা অবস্থায় আমরা ২জন সারাদিন অনেক পরিশ্রম করেছি, আর এই সামান্য বিষয় নিয়ে নিউজ প্রকাশ না করলেই ভালো হয়।
এ সকল বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার,অরুণ কুমার দেবনাথ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আপনারা নিউজ প্রকাশ করুন আমি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেব।অরুণ কুমার দেবনাথ কে প্রশ্ন করা হয়। আপনার দায়িত্বে থাকা বিদ্যালয় গুলোর এ বেহাল দশা কেন এ সময় তিনি জানান,আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
এলাকার সচেতন মহল যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, শিক্ষিকারা নিয়মিত স্কুলে আসে না আর আসলেও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই চলে যান অথচ শিক্ষা অফিসারগণ এই বিষয়গুলো কেন দেখেন না।
Tag :
সম্পাদক ও প্রকাশক : আবুল হাসান

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

‎৩১ দফা বাস্তবায়নে জয়পুহাটে বিএনপির নেতা এম এ গফুর মন্ডলের গণসংযোগ ও পথসভা 

সিরাজগঞ্জে পারপাঁচিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের মতো বিদ্যালয়টি চালাচ্ছেন 

Update Time : 01:53:19 pm, Wednesday, 23 July 2025
লিটন হোসেন, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের পারপাঁচিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের মতো করে বিদ্যালয়টি চালাচ্ছেন দিনের পর দিন।
সিরাজগঞ্জ অনুসন্ধানী সাংবাদিক টিমের অনুসন্ধানে উঠে আসে বিদ্যালয়টির প্রকৃত চিত্র। সকাল ৯ টা থেকে বিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকল শিক্ষিকায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন ৯:৩০মি,এবং বিকাল ৪:১০মি,পর্যন্ত খোলা রাখার নিয়ম থাকলেও সকল শিক্ষিকারা ৩:৫০মিনিটে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন,এবং বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার পরেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেননি সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ আলেয়া পারভীন, উল্লেখিত বিষয়গুলো সততা যাচাই করার জন্য বিদ্যালয়টির অস্থায়ী আয়া মোছাঃ হাসি খাতুন কে জিজ্ঞেস করলে তিনি সিরাজগঞ্জ অনুসন্ধানী সাংবাদিক টিম কে জানান, ম্যাডামরা ৯:৩০মিনিটের মধ্যে স্কুলে উপস্থিত হন, এবং ৪:০০টা বাজলে চলে যান কিন্তু আজকে ৩:৫০ মিনিটে চলে গিয়েছেন আর আমাকে ৪:১০ মিনিট পর্যন্ত স্কুলে থাকতে বলেছেন।
এবিষয়ে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ মরিয়ম খাতুন মুঠোফোনে জানান ৯:৩০মিনিট থেকে ক্লাস শুরু তাই আমরা ৯:৩০ মিনিটে স্কুলে যায় এবং বিকেল ৪:০০টা বাজলে স্কুল থেকে চলে আসি। তবে আজকে আমার ছেলে অসুস্থ তাই একটু আগেই বের হয়েছি। ৩ জন শিক্ষিকা ছুটিতে থাকা অবস্থায় আমরা ২জন সারাদিন অনেক পরিশ্রম করেছি, আর এই সামান্য বিষয় নিয়ে নিউজ প্রকাশ না করলেই ভালো হয়।
এ সকল বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার,অরুণ কুমার দেবনাথ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আপনারা নিউজ প্রকাশ করুন আমি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেব।অরুণ কুমার দেবনাথ কে প্রশ্ন করা হয়। আপনার দায়িত্বে থাকা বিদ্যালয় গুলোর এ বেহাল দশা কেন এ সময় তিনি জানান,আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
এলাকার সচেতন মহল যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, শিক্ষিকারা নিয়মিত স্কুলে আসে না আর আসলেও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই চলে যান অথচ শিক্ষা অফিসারগণ এই বিষয়গুলো কেন দেখেন না।